Nutritional value per 100g |
---|
Energy : 1,272kJ (304kcal) |
Carbohydrates : 82.4 g |
Sugars : 82.12 g |
Dietary fiber : 0.2 g |
Fat : 0 g |
Protein : 0.3 g |
Vitamins |
Riboflavin(B2) : 0.038 mg |
Vitamin B6 : 0.024 mg |
Vitamin C : 0.5 mg |
Minerals |
Calcium :6 mg |
Iron : 0.42 mg |
Magnesium : 2 mg |
Phosphorus : 4 mg |
Potassium : 52 mg |
Sodium :4 mg |
Zinc : 0.22 mg |
Other constituents |
Water : 17.10 g |
মধু ও তার উপকারিতা –
আদিম কাল থেকে প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবে , মিষ্টি হিসেবে , সৌন্দর্য চর্চাতে , সর্বোপরি চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে মধু। মধু সংরক্ষণে কোন প্রিজারভেটিভ(preservative) ব্যবহার করার দরকার হয় না । তাই নেই কোন মেয়াদ শেষের তারিখ(expiry date) । সবসময় ব্যবহার করা চলে । এছাড়া খাঁটি মধুতে কখন কটু গন্ধ থাকে না ।উপরের তালিকা থেকে এটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে মধুর মধ্যে ফ্যাট (Fat) ছাড়া Carbohydrates, Protein, Vitamins, Minerals ও জল (Water) সবই আছে যা আমাদের শরীরের জন্য দারুন ভাবে প্রয়োজনীয় । কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে যে সুগার আছে তা অপ্রক্রিয়াজাত যা সহজেই রক্তের সাথে মিশে যায়। আর যে ফাইবার আছে তা হজমে সাহায্য করে। ভিটামিনের মধ্যে আছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আর ভিটামিন সি । মিনারেলসের মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, লোহা , ম্যাগনেসিয়াম , ফসফরাস , পটাসিয়াম , সোডিয়াম ও দস্তা । এককথায় বলা যায় মধু হলো ওষুধের ভাণ্ডার ।বাচ্চা জন্মগ্রহণের পর তাই হয়তো মুখে মধু দেওয়ার প্রচলন রয়েছে । সকাল বেলা খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম জলে ১ বা ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে শরীরে ম্যাজিকের মতো কাজ হয় । আমাদের শরীরের জন্য মধুর উপকারিতা অনেক । দেখা যাক কি কি উপকারিতা আছে ।
শরীরে শক্তি ও তাপ যোগায় ( কারণ প্রচুর ক্যালোরি আছে )
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমের সহায়তা করে ( কারণ মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স । পেটরোগা মানুষের জন্য মধু খুবই উপকারী ।)
- রোগ– প্রতিরোগের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ( কারণ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মধু সাহায্য করে। )
- ওজন কমায় ( কারণ মধুর নিজের চর্বি নেই, শরীরের চর্বি কমায় )
ক্ষত সারায় ( কারণ প্রাচীন কাল থেকে ক্ষত সারাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মধু )
- কাশির ঘরোয়া ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয় (কারণ বাচ্চাদের জন্য অনেকদিন এর ব্যবহার হয়ে আসছে )
- প্রাকৃতিক ঘুমের ওষুধ ( কারণ রাতে ঘুমানোর আগে জলের সাথে খেলে মধু নিদ্রায় সাহায্য করে। )
- মুখ ও চামড়া পরিষ্কার করতে এবং সৌন্দর্য বিকাশে ব্যবহৃত হয় ( কারণ প্রতিদিন মধু দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে Face Washer প্রয়োজন লাগবে না )
- তারুণ্য বজায় রাখে (কারণ মধু এনটি এজিং হিসাবে কাজ দেয় । পরিক্ষিত )
- রক্ত উৎপাদনে এবং পরিষ্কার রাখতে (কারণ এতে লোহা আছে )
- উচ্চ রক্তচাপ কমায় (কারণ এতে খারাপ কোলেস্টেরল নেই )
- গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তি পেতে (কারণ হজমের গোলমাল দূর করে বলে)
- মুখের ভিতরের স্বাস্থ্য রক্ষায় ( কারণ দাঁত , মারি , ঠোটের স্বাস্থ্য বজায় রাখে )
শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে ( কারণ প্রাকৃতিক জীবনী শক্তি আছে এর মধ্যে )
ফুসফুসের রোগ ও শ্বাসকষ্ট সারাতে ( কারণ মধু রক্ত পরিষ্কার ও উৎপাদন করে )
খাঁটি মধু চিনবো কি করে –
ফ্রিজিং পরীক্ষাঃ – ফ্রিজে রাখলে খাঁটি মধু জমবে না কিন্তু ভেজাল মধু পুরোপুরি না জমলেও তলানিতে জমাট বাঁধবে ।
-
পিঁপড়া পরীক্ষাঃ – যেখানে পিঁপড়ে যাতায়াত করে সেখানে ছোট্ট একটা কাগজে একটু মধু রেখে দিলে বোঝা যাবে মধু খাঁটি কিনা । ভেজাল মধু পিঁপড়ে খাবে কিন্তু খাঁটি মধুতে পিঁপড়ে আসবে না ।
-
দ্রাব্যতা পরীক্ষা (১) – এক গ্লাস জলের মধ্যে এক চা চমচ মধু ফেলে ধীরে ধীরে নাড়ালে বোঝা যাবে মধু খাঁটি কিনা । ভেজাল হলে মধু জলের সাথে মিশে যাবে আর খাঁটি হলে ছোট ছোট পিণ্ডের আকার ধারন করবে ।
- দ্রাব্যতা পরীক্ষা (২) – এক গ্লাস জলের মধ্যে এক ড্রপ খাঁটি মধু ফেললে তা সরাসরি নিচে চলে যাবে কিন্তু ভেজাল মধু যাবে না ।
শোষণ পরীক্ষাঃ – ব্লটিং পেপারে মধু ঢাললে বোঝা যাবে মধু খাঁটি কিনা । ভেজাল হলে ব্লটিং পেপার ভিজিয়ে দেবে আর খাঁটি হলে ব্লটিং পেপার টেনে নেবে ।
সতর্কতা –
বেশি পুষ্টির আশায় বেশি করে মধু খাওয়া ঠিক নয় ।
একদম ছোট বাচ্চাদের মধু খাওয়ানোর আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ ।
যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের অবশ্যই মধু খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ ।
Please visit my You tube channel : https://www.youtube.com/cha…/UCwI8JNW7FmslSEXnG6_GAgw/videos
বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত
LikeLike
মধু সম্পর্কে তোমার মত ও লেখা খুবই মনোগ্রাহী। কিন্তু খাঁটি মধু কেথায় পাবে? আমার জানা আছে কোথায় এটা পাওয়া যায়।যদি কারও দরকার হয়,আনিয়ে দিতে পারি,কিন্তু যোগান থাকলে।বিভিন্ন ফুলের মধুরও খোঁজ জানি।সুন্দর বনের মধুও জোগাড় করে দিতে পারি।আমি নিজে ব্যবহার করছি সত্যি অতুলনীয়।এই শীতে দারুন উপকারী।
আর একটা কথা জানাই, আপনারা হয়তো কাগজ,পত্রিকা ও নিউজ চ্যানেলের মাধ্যমে জেনেছেন নীরার নাম।নারকোলের রস থেকে স্বাস্থ্য পানীয়।এছাড়া খাঁটি নারকেলের ঝোলা গুড় ও চিনি,মানুষের স্বাস্থের অনেক খেয়াল রাখছে।এমনকি সুগারের রোগীরা সুইটেক্সের বদলে এর চিনির চা পানে সুগার লেভেল বাড়ার কোন সম্ভবনা নেই।এর সম্বন্ধে তোমার হোয়াটস অ্যাপে কয়েকটা তথ্য পাঠাব।
LikeLiked by 1 person
খুব ভাল লাগলো সুন্দর এই মন্তব্য দেখে।
LikeLike