১. হাড় ভাল রাখতে সাহায্য করে – প্রতিদিন বাদাম খেলে হাড়ের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না কারন বাদামে যে ফসফরাস থাকে সেটা শরীরের মধ্যে গিয়ে হাড়ের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ।
২. ব্রেন ভাল রাখতে সাহায্য করে – বাদামে এমন কিছু উপাদান আছে যেটা মাথার ব্রেনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । তাই হয়ত ডাক্তাররা ছাত্র ছাত্রীদের নিয়মিত বাদাম খেতে পরামর্শ দেন ।
৩. ক্যান্সারের মতো রোগ দূরে রাখতে সাহায্য করে – বাদামে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শুধু যে ক্যান্সারের মতো রোগ দূরে রাখতে সাহায্য করে তা নয় , অ্যাক্সিডেটিভ ট্রেস কমিয়ে কোষেদের ক্ষত রোধ করে, সেই সঙ্গে ত্বকের এবং শরীরের বয়স কমাতেও সাহায্য করে থাকে।
৪. শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে – বাদামে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড , ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাট সহ ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি২, ফসফরাস,ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। এই সব কটি উপাদান শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে ।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে – বাদামের মধ্যে এমন সব উপাদান আছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে ।
৬. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে – গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন বাদাম খেলে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে আর স্বাভাবিকভাবেই খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কমে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও।
৭. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে – বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে শরীরের রক্ত চাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা যায় । আর বেশি দিন যদি রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে, তাহলে হঠাৎ করে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং কিডনির সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। যেহেতু বাদামে ম্যাগনেসিয়াম আছে , তাই প্রতিদিন বাদাম খেলে শরীরের রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকার সম্ভবনা থাকে ।
৮. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে – বাদাম খেলে ক্ষিদে কমে আসে তার ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায় । এর জন্য অতিরিক্ত ক্যালরি শরীরে জমা হতে পারে না তার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে ।
৯. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে – বাদামের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম , তাই বাদাম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না। সেই কারণেই তো ডায়াবেটিকদের নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
১০. কোষের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে – বাদামে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন থাকায় কোষের কর্মক্ষমতার বৃদ্ধি পায় আর ক্ষত থেকে কোষকে বাঁচায় ।
১১. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে : কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত জলে ভেজানো কাজুবাদাম খেলে দেহের ভিতর বিশেষ কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপও কমে যায়।এছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় এও দেখা গেছে যে ভাজা বাদাম খেলেও বদহজমের সমস্যা দূর হয়। রক্তের শর্করার মাত্রা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভাজা বাদাম খেলে দাঁতের ক্ষয়ও কমে।