আজকের দিনে ডায়বেটিস যেন ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে। একসময় যেখানে “চিনি ছাড়া চা” ছিল অস্বাভাবিক, এখন সেখানে অনেক তরুণ-তরুণী নিজেরাই বলেন—
“আমার চা’টা একদম ব্ল্যাক, চিনি ছাড়া দিন!”
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি বাবা-মায়ের কারও ডায়বেটিস থাকে, তাহলে সন্তানেরও ডায়বেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তবে সেটা নিশ্চিত নয়— কারণ জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম এই তিনটি বিষয় খুব বড় ভূমিকা নেয়।
তাহলে প্রশ্ন হল — কোন চিনি খাব?
আজকাল বাজারে “লবণের মতো অনেক রকমের চিনি আছে ” বললে একদম ভুল হবে না!কারণ এখন পাওয়া যায়—
- সাদা পরিশোধিত চিনি (Refined Sugar)
- ব্রাউন সুগার
- মিসরি বা ক্যান্ডি সুগার
- গুড় (Jaggery)
- নারকেল চিনি (Coconut Sugar)
- স্টেভিয়া (Stevia)
- সুক্রালোজ (Sucralose)
- অ্যাসপারটেম (Aspartame)
- এরিথ্রিটল (Erythritol)
- মঙ্ক ফ্রুট সুইটনার (Monk Fruit Sweetener)
এত বিকল্পে সাধারণ মানুষ সত্যিই বিভ্রান্ত হন।
বিজ্ঞান কী বলছে?
চলুন একে একে দেখি কোনটা কীভাবে কাজ করে ( সংগ্রহীত )
| চিনির রকম ভেদ | বৈশিষ্ট্য | ডায়বেটিস রোগীর জন্য উপযোগী? |
| সাদা চিনি (Refined Sugar) | ১০০% গ্লুকোজে পরিণত হয় | না |
| ব্রাউন সুগার / গুড় | কিছু খনিজ থাকলেও মূলত চিনি | না |
| নারকেল চিনি | GI কিছুটা কম, কিন্তু তবুও চিনি | সীমিত পরিমাণে |
| স্টেভিয়া (Stevia) | উদ্ভিজ্জ, ক্যালরিহীন, রক্তে শর্করা বাড়ায় না | হ্যাঁ |
| সুক্রালোজ (Sucralose) | কৃত্রিম, ক্যালরিহীন, নিরাপদ সীমায় গ্রহণযোগ্য | হ্যাঁ |
| অ্যাসপারটেম (Aspartame) | কৃত্রিম, গরমে ভেঙে যায় | গরম পানীয়তে নয় |
| এরিথ্রিটল (Erythritol) | প্রাকৃতিক উৎসে পাওয়া যায়, GI প্রায় শূন্য | হ্যাঁ |
| মঙ্ক ফ্রুট সুইটনার | ফল থেকে তৈরি, ক্যালরিহীন, নতুন বিকল্প | হ্যাঁ |
কোন ধরনের চিনি কাদের খাওয়া ভাল সেটা আশা করি আমরা নিজেরাই বিচার করতে পারবো । তবে যেকোনো কিছুই “অতিরিক্ত” ক্ষতিকর— তাই পরিমাণে সচেতন থাকা জরুরি। ডায়বেটিস মানেই জীবন থেমে যাওয়া নয়। বরং এটি আমাদের শেখায়, নিজের শরীরকে ভালোবাসতে — খাবার, ব্যায়াম, ও সচেতনতার মাধ্যমে।
( বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে নিজের ভাষায় সহজ করে লেখার চেষ্টা করলাম যদি কারও কাজে লাগে )