১লা আগস্ট বিকালবেলা তখন স্পেস নিডেলের ওপর থেকে দু চোখ ভড়ে সিয়াটেলের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখছি। ঠিক তখনই একটা হেলিকপ্টার আমাদের মাথার ওপর দিয়ে উড়ে সমুদ্রের দিকে চলে গেল । ছেলে আমাদের কাছে এসে আস্তে আস্তে বলল – ‘কাল সিয়াটেলে হেলিকপ্টারে ঘুরবে’?ওর কথা শুনে আমাদের মনটা আনন্দে নেচে উঠলো। কারণ হেলিকপ্টার ছাড়া আর সব যানবহনে আমাদের ভ্রমণ হয়েছে ।কিন্তু অনেকগুলো টাকার ব্যাপার , তাই ইচ্ছা থাকা স্বতেও আমরা একটু দোটানায় ছিলাম। আমাদের চুপ থাকতে দেখে ছেলে ভাবল মৌনতাই সন্মতির লক্ষণ । ও ওখান থেকে মোবাইলে আগামীকালের হেলিকপ্টার রাইড বুক করে ফেললো ।
এখানকার ০২/০৮/২০২৩ তারিখ দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে আমরা তিনজন পৌঁছে গেছিলাম এখানকার ফ্রাইং ক্লাবে । যা যা ফর্মালিটিস ছিল সব পুরন করে আমরা তিনজন পাইলটের সাথে পৌঁছে গেলাম আমাদের জন্য রাখা হেলিকপ্টারে । সামনে দুজন আর পিছনে দুজন অর্থাৎ মোট চারজনের বসার জায়গা । যেহেতু প্রথমবার আমরা হেলিকপ্টার চরছি তাই আমাদের পাইলট কিছু safety precaution এর কথা বললেন । আমরাও খুব এক্সাইটেড । উঠে বসলাম হেলিকপ্টারের ভিতর । একটু বাদেই হেলিকপ্টারের ইঞ্জিন গর্জে উঠলো , হেলিকপ্টারের মাথার ওপর ডানাগুলি ঘুরতে শুরু করলো আর হেলিকপ্টার আমাদের নিয়ে উপরে উঠতে লাগলো । বেশ রোমাঞ্চিত লাগছিল ।আমাদের নিয়ে হেলিকপ্টার উড়ে চলল সামনের দিকে । ১০০০ ফুট উপর দিয়ে ১১০ মাইল প্রতি ঘণ্টা গতিতে উড়ে চলল সিয়াটেলকে প্রদক্ষিণ করতে । মনে হছিল আকাশ দিয়ে আমরা পাখির মতো উড়ে বেড়াচ্ছি । কখনও সমুদ্রের ওপর দিয়ে , কখনও লেকের ওপর দিয়ে আবার কখনও শহরের ওপর দিয়ে আমরা উড়ে বেড়াচ্ছিলাম । আমাদের পাইলট সব জায়গার বিবরণ দিতে দিতে হেলিকপ্টারকে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল । কখনও ডানদিকে কখনও বাঁদিকে বেকিয়ে খুব সুন্দর চালাচ্ছিল হেলিকপ্টার । খুব মজা লাগছিল ।প্রায় ২০ মিনিট মতো আমরা উড়ে বেড়ালাম । তারপর নেমে আসলাম ফ্লাইং ক্লাবের মাটিতে ।এই ২০ মিনিটের আকাশে উড়ে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা আমাদের আরেকটা স্বপ্ন পূরণের সাক্ষী হয়ে থাকলো সিয়াটেলের মাটিতে ।
Please visit my You tube channel : https://www.youtube.com/cha…/UCwI8JNW7FmslSEXnG6_GAgw/videos