বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর / বিষ্ণুপুর

সকাল সকাল বেড়িয়ে পড়লাম গাড়ি নিয়ে ছৌ শিল্পের পিঠস্থান চোড়িদা গ্রামের উদ্দেশ্যে ।বিভিন্ন ধরনের ছৌ নাচের মুখোশ বিক্রি হচ্ছে । আমাদের পছন্দ মতো বেশ কটা মুখোশ কিনে নেওয়া হোল । তারপর রওনা হলাম মুকুটমনিপুরের উদ্দেশ্যে । রাস্তায় বলরামপুরে ব্রেকফাস্ট সেরে পৌছালাম মুকুটমনিপুর । অযোধ্যা পাহাড় থেকে মুকুটমনিপুর ১১৭ কিমি । কংসাবতী ও কুমারী নদীর সঙ্গমে দারুণ স্পট এই মুকুটমণিপুর। কুমারী আর কংসাবতীর জলে ৮৬ বর্গ কিলোমিটারের এই জলাধার ।১০০ টাকা গেট পাস দিয়ে জালাধারে পৌঁছে গেলাম । গাড়ি করেই সমস্ত বাঁধ ঘোরা যায় । বিশাল ল্পম্বা এই বাঁধ । শেষ হতেই চায়না । অসাধারন দৃশ্য । এত বড় বাঁধ আমরা আগে দেখিনি । অনেকে নৌকা করে ওপারে যাচ্ছে । ওটাও এক দারুন অভিজ্ঞতা । মুকুটমনিপুরে আমারা আগে থেকে থাকবার জায়গা ঠিক করিনি । ভেবেছলাম পেয়ে যাব । পূজার সময় , খুব ভিড় ছিল । তাই ঠিক করলাম মুকুটমনিপুর দেখে বিষ্ণুপুরে রাত্রে থাকবো , তাই আর নৌকা বিহার করলাম না । এরকম নৌকা বিহার আগে অনেক করেছি তাই অতটা উৎসাহ বোধ করলাম না । বিকাল বিকাল রওনা দিলাম বিষ্ণুপুর । মানবাজার , হাতিরামপুর হয়ে সন্ধ্যায় পৌছালাম বিষ্ণুপুর । হোটেল জিনিসপত্র রেখে বেড়িয়ে পড়লাম বিষ্ণুপুরের দুর্গাপূজা দেখতে । এখানেও দেখছি দারুন ভিড় হয় । প্রতিমা দর্শনের বিরাট লম্বা লাইন । দুর্গাপূজার শেষ দিন অর্থাৎ নবমী । সবাই প্রানভরে আনন্দ করে নিচ্ছে ।

পরদিন অর্থাৎ ৮/১০/২০১৯ দশমীর দিন সকাল ১০ টা নাগাদ বিষ্ণুপুর দর্শন করতে চললাম । আমাদের আগেই বিষ্ণুপুর খুব ভাল করে দেখা আছে ।কিন্তু আমাদের সাথী রিঙ্কি , পিনটুরা যেহেতু বিষ্ণুপুর আগে আসেনি তাই আবার দেখতে বেড়লাম । প্রথমে গেলাম রাসমঞ্চ । ওখানে বিষ্ণুপুর ঘোরার জন্য টিকিট ও গাইড দুটোই পাওয়া যায় । গাইডের চার্জ ৩৫০ টাকা । মল্লরাজাদের সব অপূর্ব নিদর্শন দেখতে দেখতে ও গাইডের মুখে সব কিছুর ব্যাখ্যা শুনতে শুনতে মন অতীতে হারিয়ে যায় । বিষ্ণুপুর ভালমতো ঘুরে টুরিস্টলজে দুপুরবেলার খাবার সেরে আমরা রওনা হলাম জামশেদপুর । বিষ্ণুপুরে থাকার ও খাওয়ার টুরিস্টলজই আমাদের কাছে সবচেয়ে ভাল জায়গা । দেখলাম টুরিস্টলজে বড় বড় করে লেখা আছে WE DON’T ACCEPT TIPS . খুব ভাল লাগলো দেখে । একটা কথা স্বীকার করতেই হচ্ছে যে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার যে বিস্তীর্ণ অঞ্চল আমরা ঘুরলাম তার সবকটি রাস্তাই দারুন ভাল । আরেকটা প্রাপ্তি হোল আমাদের । পুরুলিয়ার উপর দিয়ে আসার সময় দশমীর দিন দেখতে পেলাম আদিবাসী নৃত্য । সন্ধ্যাবেলা যখন জামশেদপুর প্রবেশ করছি তখন ঠাকুর ভাষান শুরু হয়েছে । প্রতিমা নিয়ে ঢাকের তালে নাচতে নাচতে সবাই চলেছে নদীর দিকে বিসর্জন দিতে । বিসর্জনের আওয়াজ মনে করিয়ে দিচ্ছে এই বছরের দুর্গা প্রতিমা বিদায় নিচ্ছে । আসছে বছর আবার হবে ।

Please visit my You tube channel : https://www.youtube.com/cha…/UCwI8JNW7FmslSEXnG6_GAgw/videos

2 thoughts on “বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর / বিষ্ণুপুর

  1. Apurba Neogi
    Very nicely described the travel experience with matching wonderful photographs..
    Mita Sengupta
    Apnar Sathe amrao ghurchi.khub sundor lekha
    Manas Bera
    Very nice journey
    Naru Mahato
    এই ছোটো ছোটো অথচ সুন্দর সুন্দর প্রোগ্রাম গুলো কি নিজেদের ই করা না agency মারফত ।আপনাদের দেখে আমাদের ও ইচ্ছা হচ্ছে ।
    Suparna Chowdhury
    খুব সুন্দর লাগছে তোমাদের
    Swapan Dattaray
    Very nice .
    Aloka Mitra
    যাবার ইচ্ছা করছে এত ভালো পিক র description
    Kanti S
    Janar kono ses nai khub bhalo laglo chobi o lakha mone holo sob samner theke dakhche
    Sonali Biswas
    গোটা পূজোটাই কলকাতার বাইরেই কাটালেন । কল্কাতার এই বীভৎস ভীর থেকে অনেক অনেক দূরে। ভাল লাগল আপনার লেখা। শুভ বিজয়া, ভালো থাকবেন।
    Nikhil Laha
    Nicely presented
    Aparajita Sengupta
    Khub sundar likhechho.tomar lekha pore jabar ichhe bere gelo.

    Liked by 1 person

Leave a reply to supriyoroy Cancel reply