ফিনল্যান্ড -১ ( ২৯/০৭/২০১৬) ২৬/০৭/২০১৬ সকাল ১১.৪০ মিনিটে দমদম এয়ারপোর্ট থেকে রওনা হয়ে দিল্লী পৌছালাম দুপুর ২.২০ মিনিটে । বাইরে বেরোনোর সময় জানতে পারলাম ট্যাক্সি আর অটো দুটোই স্ট্রাইক । ওলা আর উবেরের বিরুদ্ধে ।প্রায় সব রাজ্যেই চলছে এই আন্দোলন । ওলা ও উবেরের জন্য ট্যাক্সি আর অটোর ব্যবসাতে সব জায়গায়ই টান পরেছে । যাইহোক একটা … Continue reading আবার ফিনল্যান্ডে কটাদিন ( AGAIN IN FINLAND)
Category: EUROPE
হেলসিঙ্কির মহামায়া (DURGA PUJA IN FINLAND)
ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে মহামায়া দ্বারা সংগঠিত সার্বজনীন দুর্গাপূজা মহা ধুমধামের সাথে পালিত হলো ৮ ও ৯ ই অক্টোবর অর্থাৎ শনি ও রবিবার । এই পুজোর দুদিনের প্রতিটা মুহুর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছিল । প্রকৃত অর্থে এই পূজা ছিল সার্বজনীন । সমস্ত ধর্মের এক মিলন মেলা ।দর্শনার্থীদের মধ্যে হিন্দু ছাড়াও ছিল মুসলিম , ফিনিস … Continue reading হেলসিঙ্কির মহামায়া (DURGA PUJA IN FINLAND)
DURGAPUJA IN FINLAND
DURGAPUJA IN HELSINKI
লন্ডন নামচা
৩0.১0.২০১৫ সকাল সাড়ে ৬টায় দমদম এয়ারপোর্ট থেকে রওনা হয়ে পৌঁছে গেলাম মুম্বাই । যেহেতু মুম্বাই থেকে লন্ডন যাব তাই এমিগ্রেসন মুম্বাইতেই হলো । ১টা২০ মিনিট নাগাদ সাড়ে ৯ ঘনটা টানা আকাশে ওড়ার পরে পৌঁছলাম লন্ডনের সেই বিখ্যাত এয়ারপোর্টে হেয়াথ্রও (Heathrow) । ঘড়িতে বিকাল ৫টা ২0 । অবশই লন্ডনের ঘড়িতে। সব কিছু সেরে একটা ট্যাক্সি নিয়ে … Continue reading লন্ডন নামচা
ইউরোপের সিলিকন উপত্যকা – তালিন
ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা ৭ টা হবে । আমরা ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কির একটা কফি হাউসে বসে আছি তিনজন । আমি, আমার স্ত্রী ও আমার বড় ছেলে । নভেম্বর মাস , বাইরে ভালই ঠান্ডা । কফি খেতে খেতে ভালই আড্ডা চলছিল ।হঠাৎ আমার ছেলে বলে উঠলো – “শনিবার তালিন গেলে কেমন হয় । শনিবার রাত্রে রওনা … Continue reading ইউরোপের সিলিকন উপত্যকা – তালিন
NORTH CAPE
পৃথিবীর উত্তরের শেষ প্রান্ত – নর্থ কেপ কোনদিন কল্পনায় ভাবিনি যে সুমেরু বৃত্ত ছাড়িয়ে পৃথিবীর শেষ প্রান্তে পৌছে যাব একদিন, যেখানে উত্তর মেরু ও আমার মধ্যে থাকবে না কোনো স্থলভূমি । সামনে শুধু কয়েক কিলোমিটার জুড়ে থাকবে নীলাভ সমুদ্র । তারপরেই আছে উত্তর মেরু বা নর্থ পোল । সত্যিই নরওয়ের উত্তর দিকের শেষ প্রান্তে পোঁছে … Continue reading NORTH CAPE
ফুটবলের মক্কা – স্পেন
বার্সেলোনা আমাদের যেহেতু সেনজেন এলাকার ২৬ টা দেশের মধ্যে ফিনল্যান্ডের ভিসা ছিল তাই ইউ.কে ছাড়া বাকি ২৬ টা দেশে যেতে কোনো বাঁধাই ছিল না কারণ এই ২৬ টা দেশের মধ্যে যে কোনো একটা দেশের ভিসা থাকলেই হলো । আমাদের দেশের বেশ কিছু টুর অপারেটর স্পেন আর পর্তুগাল একসাথে ঘোরাতে নিয়ে যায় । স্পেনের পাশেই তো … Continue reading ফুটবলের মক্কা – স্পেন
সান্তা ক্লসের গ্রাম -ল্যাপল্যান্ড
পর্যটকদের কাছে ল্যাপল্যান্ডের আকর্ষণ অনেকদিনের । কারণ এখানে আছে সান্তা ক্লসের গ্রাম , প্রচুর রেইন ডিয়ার , অরোরা বোরিয়ালিস , আর্কটিক সার্কেল , মধ্যরাত্রে সূর্য দেখার সূখ , স্লেজ গাড়ি , ইগলু , এছাড়া আছে অপূর্ব প্রাকিতিক সৌন্দর্য আর আছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ভয়াবহ ধংসলীলার ইতিহাস ।
আমরা যদি একটু ভালো করে পৃথিবীর মানচিত্রের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে একদম উপর দিকে অর্থাৎ উত্তর মেরুর দিকে দেখব একটা গোল বৃত্ত আঁকা আছে । সেটাকেই বলে আর্কটিক সার্কেল । এই আর্কটিক সার্কেলের মধ্যে যে সব জায়গাগুলো আছে সব জায়গারই আবহাওয়া ঠান্ডা । কিছু কিছু জায়গা আবার সবসময় বরফে ঢাকা থাকে । আটটি দেশের মধ্য দিয়ে এই আর্কটিক সার্কেল গেছে । দেশগুলো হোলো নরওয়ে ,সুইডেন , ফিনল্যান্ডের ল্যাপল্যান্ড , রাশিয়া , ইউনাইটেড স্টেটস (আলাস্কা ),কানাডা , গ্রীনল্যান্ড ও আইসল্যান্ড ।
ল্যাপল্যান্ড ফিনল্যান্ডের উত্তর দিকের একটি সীমান্ত প্রদেশ যার তিনদিকে আছে সুইডেন ,নরওয়ে আর রাশিয়া । আমরা তখন ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে । হেলসিঙ্কি থেকে ট্রেনে ল্যাপল্যান্ড এক রাত্রির যাত্রা । নভেম্বর মাসের শেষ দিক , ভালই ঠান্ডা । প্রচুর বরফ পাবো এবং অরোরা বোরিয়ালিস দেখার সুযোগ আছে । ছেলের কাছে শুনেছি রাত্রের আকাশ জুড়ে দেখা যায় সবুজ আলোর ঝলকানি । সারা আকাশ জুড়ে অনেক্ষণ ধরে চলে সবুজ আলোর ঢেউ । ওর বেশ কটা ছবিতে অরোরা বোরিয়ালিস দেখার সুযোগ পেয়েছি । তাই নিজের চোখে দেখার সুযোগ ফেলতে পারলাম না । ল্যাপল্যান্ডের হাতছানি তীব্রভাবে অনুভব করতে লাগলাম ।
অগ্যতা ২৭,১১,২০১৫ বিকাল সাড়ে পাঁচটা , তিনজনে রওনা হলাম হেলসিঙ্কি থেকে ট্রেনে করে ল্যাপল্যান্ড । দোতলা ট্রেন , করিডরের পাশদিয়ে পর পর অনেকগুলো ছোট ছোট কামরা । একটা কামরায় দুটো করে বার্থ ,উপরে আর নীচে । সুন্দর করে বিছানা পাতা । বেসিন, জামাকাপড় টাঙ্গানোর হ্যাঙ্গার , ছোটর মধ্যে সবই আছে । প্রায় সকাল ৮টা নাগাদ ল্যাপল্যান্ড পোঁছালাম । অবশ্য ওখানে অন্ধকার । আলো হয় সকাল ৯টার পর , থাকে ২ টা অবধি ।ওয়েটিং রুমে পরিস্কার হয়ে পাশের একটা রেস্তরাঁতে সকালের জলখাবার খেতে গেলাম ।এখানকার ওয়েটিং রুম ঝকঝকে পরিস্কার । ও একটা কথা লিখতে ভুলে গেছিলাম। এখানে ট্রেনে কোন আলাদা আলাদা ক্লাস নেই । সবই এক ।
স্টেশন থেকে খুব সাবধানে পা ফেলে চলতে হচ্ছে । কারন আগেরদিনের স্নো বরফ হয়ে গেছে । আমাদের সাথে অনেক বিদেশী পর্যটক ট্রেন থেকে নামলো । ঠান্ডাতো কি হয়েছে , জায়গাটা তো ল্যাপল্যান্ড । ট্যাক্সি নিয়ে পৌঁছালাম সান্তা ক্লসের গ্রামে । রাস্তার দুপাশ বরফে সাদা হয়ে আছে । মনে হলো বরফে ঢাকা এক বিদেশী আশ্রম । চারিপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটা বাড়ী । কোনটা সান্তার পোস্ট অফিস , কোনটা বা অফিস । পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে সান্তার নামে চিঠি এখানে আসে । এছাড়া আছে অনেকগুলো রেস্তরাঁ । একটা ভাল হোটেল ও পেট্রল পাম্প দেখলাম । সবই সুন্দর করে সাজানো । আর্কটিক সার্কেলটা যেখান দিয়ে গেছে সেই জায়গাটা খুব সুন্দরভাবে বোঝান হয়েছে । চারিদিকে প্রচুর ক্রিসমাস ট্রি জায়গাটার পরিবেশকে খুবই মনোরম করে তুলেছে । শুধু বড়দিনের সময় নয় , সব সময় এই জায়গা বড়দিনের সাজে সজ্জিত । কিছু দূরে একটা হাস্কি পার্ক (Husky park) দেখলাম । গিয়ে দেখি নেকড়ের মতো দেখতে কিছু কুকুর বরফের উপর দিয়ে স্লেজ গাড়ী টানছে।
ছোটবেলার ভুগোল বইয়ের কথা মনে পরে যাচ্ছিল । বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে স্লেজ গাড়িতে চড়ছি । চারপাশে বেশ কটা ইগলু দেখতে পেলাম । অনেকটা বরফের টেন্ট ।
এরপর আরো অনেকের মতো সান্তার সাথে দেখা করতে চললাম । এখানে সান্তা ক্লসের সাথে প্রতেকদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা অবধি দেখা করা যায় । বিশাল লম্বা লাইন । আমরাও দাঁড়ালাম । দোতলার উপর একটা আলো আধাঁরি ঘরে বসে আছেন ওনার সেই পরিচিত লাল সাদা টুপি আর লম্বা গ্রাউন পরে । সৌম্য দর্শন বয়স্ক মানুষ আমাদের সাথে হাত মেলালেন । হেঁসে আমাদের সমন্ধে জানতে চাইলেন আমরা কোথা থেকে এসেছি, কেমন লাগছে , কদিন থাকব এই সব আরকি । নিজেদের ক্যামেরাতে ছবি তোলা মানা । ওরাই ছবি তুললো , ভিডিও করলো । যারা নিতে চায় তারা কিনতে পারে । আমরাও সবার মতো স্মৃতি হিসাবে সান্তার সাথে আমাদের ছবি ও ভিডিও কিনে নিলাম । সারা গ্রাম ঘুরতে বেশ সময় লাগে । এখানে ২টার সময় অন্ধকার হয়ে যায় । এরপর আমরা টাক্সি নিয়ে ল্যাপল্যান্ডের রাজধানী রোভানিয়েমিতে আসলাম যেখানে আমাদের থাকার জায়গা ঠিক করা ছিল । ছিমছাম শহর । একটা দুই কামরার আসবাবপত্র সহ ফ্ল্যাট অন লাইনে ব্যবস্থা করা হয়েছিল । অনেকটা হোম স্টের মতো । ইচ্ছা করলে রান্না করেও খাওয়া যাবে । দুদিনের জন্য আমাদের বুক করা ছিল । চাবি নিয়ে নিজেরাই রাস্তা চিনে ফ্ল্যাটে ঢুকলাম । জিনিসপত্র রেখে একটু আরাম করে বেড়িয়ে পরলাম রোভানিয়েমির রাস্তায় । শুনেছি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় এই রোভানিয়েমিতে জার্মান সৈন্যরা বিশাল প্রস্তুতি নিয়ে জড়ো হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে যুদ্ধ করার জন্য । যার নাম বার্বারোজা অপারেসন । এই যুদ্ধ আজ ভয়াবহ ইতিহাস । প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সাক্ষী এই ল্যাপল্যান্ড । দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের আগের কোনো বাড়িঘর খুঁজে পাওয়া মুশকিল । সারা রোভানিয়েমি আগুনের শিখায় পুড়ে ছারখার হয়ে গেছিল । যা কিছু এখন ল্যাপল্যান্ডে দেখছি সবই প্রায় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরের সময়কার । কিছুদূর হাঁটতেই অবাক কান্ড এখানেও একটা ভারতীয় রেস্তরাঁ । নাম রঙ্গমহল । এক নেপালী মহিলা চালান । সুন্দর রান্না । ভালই পরিচয় হলো । উনি নেপাল থেকে এসে এখানে রেস্তরাঁ খুলেছেন যেখানে ভারতীয় খাবার পাওয়া যায় । যেহেতু আমরাও কিছুটা নেপালী বলতে পারি তাই ভাল খাতির পেলাম । ল্যাপল্যান্ড-এ যখন ভারতীয় খাবার পাওয়া যাচ্ছে তখন আমরা নিশ্চিত যে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তেই ভারতীয় খাবার পাওয়া যাবে । আমার ছেলে বলছিল আজকাল ভারতীয় খাবারের আকর্ষন বিদেশে নাকি দিন দিন বাড়ছে । খাওয়া সেরে আবার ফিরলাম আমাদের হোম স্টে-তে । হোম স্টে-টা খুব ভালো ছিল । এককথায় বলা যায় খুবই আরামদায়ক । কিছুক্ষন হালকা বিশ্রাম নিয়ে ঠান্ডার ভালই প্রস্তুতি নিয়ে আবার চললাম সান্তার গ্রামে , যদি রাত্রের আকাশে অরোরা বোরিয়ালিস দেখতে পাই । শুনেছি বছরে প্রায় ২০০ রাত্রি অরোরা বোরিয়ালিস এখানে দেখা যায় । বাইরে দেখলাম ১ ডিগ্রী , হালকা বৃষ্টি হচ্ছে । ছাতা মাথায় দিয়ে তিনজনে পৌঁছে গেলাম । লোকজন নেই বললেই চলে । অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরও যখন আকাশ পরিস্কার হলো না, তখন বাধ্য হয়েই ঘরে ফিরতে হলো । রাত্রের খাবার বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল তাই ঘরে বসে আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম । হঠাৎ জানলা দিয়ে বাইরে নজর যেতেই দেখি বরফ পড়ছে । অসাধারণ । কিছুক্ষন হয়ে বন্ধ হয়ে গেল । আমরাও শুয়ে পড়লাম । ভোরে উঠে দেখি চারিদিক সাদা । সারা রাত ধরে প্রচুর বরফ পরেছে । কাছেই একটা বড় হ্রদ আছে , গিয়ে দেখি জলের অনেকটা অংশই সাদা হয়ে আছে । বুঝতে পারলাম হ্রদের জলের অনেকটাই বরফ হয়ে গেছে । পাশেই একটা বড় পার্ক । এত বরফ পরেছে যে হাঁটতে পা ডুবে যাচ্ছে । মনটা ভরে গেল । তাপমাত্রা -৪ ডিগ্রী । কাছেই আর্কটিক সার্কেলের উপর একটা মিউজিয়াম আছে , সেটাই দেখতে গেলাম । বেশ কটি শ্বেত ভাল্লুক ও বল্গা হরিন ওখানে দেখলাম ।
অরোরা বোরিয়ালিসের উপর একটা ডকুমেন্টারিও দেখলাম । দুধের স্বাদ ঘোলে মিটলো । চরকির মতো এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ালাম । প্রতিটি বাড়ীর মাথা সাদা হয়ে আছে । গাছের উপর বরফ । তাপমাত্রা পজিটিভ হলে নাকি বরফ গলা শুরু হবে । যাইহোক আমাদের রাত্রি ৯টায় ট্রেন । হালকা ডিনার সেরে চললাম ষ্টেশন । ট্রেন ছাড়লো ৯ টা ১৫ মিনিটে । তখন তাপমাত্রা দেখাচ্ছিল -১ ডিগ্রী । ল্যাপল্যান্ডকে বিদায় জানিয়ে চললাম আমরা হেলসিঙ্কি
Please visit my You tube channel : https://www.youtube.com/cha…/UCwI8JNW7FmslSEXnG6_GAgw/videos
%e0%a6%a8%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a5-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%aa