এই ভারতবর্ষ — নামটা উচ্চারণ করলেই যেন কানে ভেসে আসে শঙ্খধ্বনি, রাগরাগিণীর সুর, আর কোনো পুরাতন মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি।
উত্তরে বরফ ঢাকা হিমালয় — দাঁড়িয়ে আছে ঋষির মতো, নির্বাক অথচ অভিভাবকের মতো শক্ত।
দক্ষিণে সমুদ্র — বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর, হিন্দ মহাসাগরের গর্জন যেন বলে, “এসো, দেখো, অনুভব করো আমার নীল বিস্তার।”
পুরী থেকে রামেশ্বরম — মন্দিরের দীপ্তি আর বিশ্বাসের অঙ্গীকার।
বারাণসী — যেখানে সময় থেমে থাকে, গঙ্গার ঢেউয়ে মিশে যায় অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ।
তাজমহল — পাথরের শরীরে প্রেমের নিঃশব্দ ভাষা।
রাজস্থানের মরুভূমি — সূর্যের রঙে রঙিন, উটে চেপে গন্তব্যহীন এক যাত্রার শুরু।
কেরালার ব্যাকওয়াটার — নারকেল পাতার ছায়ায় শান্ত এক স্বপ্ন, ভেসে চলে নৌকায়, দুলে দুলে।
এই দেশেই আছে মেঘালয়ের মেঘে ভেজা পাহাড়,
দার্জিলিং , সিকিমের অর্কিডে ঢাকা পথঘাট,
অরুণাচলের সকাল যেখানে সূর্য প্রথম জাগে।
সুন্দরবনের বাঘ আর কচ্ছের সাদা মরুভূমি যেন একসাথে বলে — বৈচিত্র্যই আমাদের পরিচয়।
এখানে উৎসব প্রতিদিন — হোলি, দুর্গাপুজা , দীপাবলি, ঈদ, বড়দিন —
ধর্ম আর সংস্কৃতি হাত ধরাধরি করে হাসে, নাচে, গেয়ে ওঠে “বিবিধের মাঝে ঐক্য।”
খাবারেও যেন একটা মানচিত্র — কলকাতার রসগোল্লা থেকে লখনউর কাবাব, পঞ্জাবের মক্কা-রুটি থেকে চেন্নাইয়ের ইডলি-দোসা।
এই ভারত — শুধু একটা দেশ নয়,
এ এক অনুভব।
যার গন্ধ মাটিতে, যার ছন্দ বাতাসে,
যার গল্প প্রতিটি প্রাচীন প্রাসাদে, প্রতিটি জনপদে,
আর যার আমন্ত্রণ খোলা —
তোমার জন্য, আমার জন্য,
সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য।