তথ্য যাচাই না করে শেয়ার মানে , নিজেকেই বিপদে ফেলা – সুপ্রিয় রায়

“ফরওয়ার্ডেড অ্যাজ রিসিভড”—এই লেখাটুকু দেখলেই আমরা অনেক সময় ধরে নিই, খবরটা একেবারে সত্যি! আর তাতেই ঘটছে বিপদ। কারণ, ভুল তথ্য একবার ভাইরাল হয়ে গেলে সেটা যেন আগুনে ঘি ঢালার মতো—ছড়িয়ে পড়ে আরও ভুলে, আরও বিভ্রান্তিতে।

কেন মানুষ যাচাই না করেই শেয়ার করে?

  1. আবেগে ভেসে যায় – ছবি বা ক্যাপশন দেখে মনে হয় “এটা জানানো দরকার।”
  2. সত্যি ভাবেই বিশ্বাস করে – উৎস দেখে না, শুধু বিশ্বাস করে।
  3. “আমিও জানি”—এই মনোভাব – খবর ছড়ানোর আগে আমরা ভাবি না, এর দায়ও আমাদের!

কীভাবে রুখব এই ‘ডিজিটাল গুজব’?

খবর দেখলে প্রথমে গুগল করে দেখা দরকার —এটা অন্য কোনো বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে এসেছে কি না।
“ফরওয়ার্ডেড” মানেই সত্যি না—এই কথাটা মাথায় রাখা ।
সন্দেহ হলে বন্ধুদের বলা , “ভাই, আগে যাচাই করো, তারপর শেয়ার করো।”
ভুয়ো খবর চেনার কিছু টুল ব্যবহার করা (যেমন: AltNews, BoomLive, FactCheck)।

শেষ কথা তথ্য হলো শক্তি, আর ভুল তথ্য—অস্ত্র। আপনি যদি যাচাই না করে সেটি শেয়ার করেন, তাহলে আপনি নিজেই হয়ে উঠছেন সেই ভুলের বাহক।

সচেতনতা মানে শুধু জানাও নয়, দায়িত্ব নেওয়াও।

তাই বলি—তথ্য যাচাই না করে শেয়ার মানে, নিজেকেই বিপদে ফেলা।

Leave a comment