ময়দা (refined flour) প্রক্রিয়াজাতকরণের ফলে শুধুমাত্র গমের এন্ডোস্পার্ম থেকে তৈরি হয় এবং এতে ভুসি সরিয়ে নেওয়া হয়, যার ফলে এতে ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান কম থাকে। এর ফলে ময়দার পুষ্টিগুণ কম হয় এবং কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।যেমন –
- কম ফাইবার: ময়দায় ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে, যা হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়ায়।
- উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স: ময়দার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স উচ্চ, যা রক্তের শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
- ওজন বৃদ্ধি: ময়দা থেকে তৈরি খাদ্য পণ্যগুলি উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত, যা অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলতা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি: নিয়মিত এবং অধিক ময়দা খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, কারণ এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে।
- পুষ্টির অভাব: ময়দায় ভিটামিন এবং খনিজের পরিমাণ কম থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
অন্যদিকে আটা আসলে পূর্ণ গম থেকে তৈরি হয় এবং এতে গমের ভুসি ও এন্ডোস্পার্ম থাকে। এর ফলে আটা থেকে আমরা সম্পূর্ণ পুষ্টি উপাদান যেমন ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান পাই। আটা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল কেন তা নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:
- ফাইবার: আটা ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজমে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- ভিটামিন এবং খনিজ: আটা বিভিন্ন ভিটামিন (যেমন ভিটামিন বি) এবং খনিজ (যেমন আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম) সমৃদ্ধ।
- লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স: আটার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, যা রক্তের শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো: আটা নিয়মিত গ্রহণ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
এজন্য, স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাদ্যের জন্য আটা বেছে নেওয়া অধিকতর উপযোগী। সুতরাং, ময়দা থেকে তৈরি খাদ্য পণ্যগুলি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন।