ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি যা হাড়ের স্বাস্থ্য, ইমিউন সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ এবং কোষের বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপে মৌলিক ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন ডি শরীরে একটি হরমোনের মতো আচরণ করে।যেহেতু ভিটামিন ডি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ জরুরি তাই এর ঘাটতি দেখা দেওয়া মানেই একাধিক রোগের সম্ভাবনা। ভিটামিন ডির অভাবে হাড় দুর্বল হয় এবং আস্তে আস্তে হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে, যাকে অস্টিওপরোসিস রোগও বলা হয়। ভিটামিন ডির অভাবে শিশুদের হাড়ে বিকৃতি বা রিকেট রোগ হতে পারে। ফলে ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণ করার জন্য আমাদেরকে নিয়মিত কোন কোন খাবার খেতে হবে যে সব খাবারের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে । যেমন মাশরুম, ডিমের কুসুম, ফ্যাটি ফিশ , মাছের তেল, দুধ, দই, ছানা, ছাঁচ, চিজ, বাদাম , বীজ জাতীয় খাবার, কমলা ইত্যাদি । চর্বিযুক্ত মাছ যেমন স্যামন, ম্যাকেরেল, ট্রাউট, সার্ডিন এবং টুনা হল ভিটামিন ডি-এর উৎকৃষ্ট খাদ্যতালিকাগত উৎস। তবে স্যামন, ম্যাকেরেল, ট্রাউট, সার্ডিন,টুনা এখানে সহজলভ্য নয়, তাই পমফ্রেট, বাসা, ভেটকি, গুরজাওলি মাছও খাওয়া যেতে পারে। তবে খাবারের থেকেও বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সূর্যের (Sun Rays) আলো থেকে।যেটা পেতে আমাদের এক পয়সাও খরচ হয় না । শরীরের ভিটামিন ডি তৈরি করার সবচেয়ে প্রাকৃতিক এবং কার্যকর উপায় হল সূর্যালোকের এক্সপোজার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যের রোদ ভিটামিন ডির খুব ভালো উৎস। অর্থাৎ, যখন আমাদের শরীরের ছায়া নিজের তুলনায় ছোট হয় , সেই সময়ের রোদে শরীরের ত্বক(হাত , পা বা পিঠ) সবচেয়ে ভালো ভিটামিন ডি উৎপন্ন করতে পারে । ১০ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত সূর্যের আলোয় দাঁড়ালেই যেটুকু ভিটামিন দরকার তা পাওয়া যায় । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ভিটামিন ডি এর অভাব প্রায় উপসর্গহীন। এটি শুধুমাত্র রক্ত পরীক্ষায় সনাক্ত করা যেতে পারে । তাই যারা শরীরে একদমই রোদ লাগায় না তাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ দিনের মধ্যে সামান্য কিছুটা সময় বার করে নিজেদের ভালোর জন্য রোদের থেকে ভিটামিন গ্রহণ কর ।
Please visit my You tube channel : https://www.youtube.com/cha…/UCwI8JNW7FmslSEXnG6_GAgw/videos