অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা Antioxidant এবং ট্রাইগ্লিসারাইড TRIGLYCERIDE

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো একটা রাসায়নিক যেটা শরীরকে ক্ষত থেকে বাঁচায় রেডিকালের সাথে লড়াই করে এর আরেকটা নাম ঝাড়ুদার যে রেডিকালকে মুক্ত করে মজার ব্যাপার হলো এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর রেডিকাল প্রাকিতিকভাবে আমাদের শরীরই তৈরী করে একে অপরের সাথে লড়াই করার জন্য রেডিকাল শরীরকে অসুস্থ বানায় এবং ক্ষতের সৃষ্টি করে যদি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট না থাকতো তাহলে শরীরটা রেডিকালের মুক্ত অঞ্চল হয়ে যেত পরিবেশ দূষণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রয়জনীয়তা দিন দিন বাড়িয়ে তুলেছে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের হার্ট, চোখ, স্মৃতি, মুড এবং ইমিউন সিস্টেমকে রক্ষা করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কাঁচা বা হাল্কা আঁচে গরম করে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায় যারা খুব সিগারেট খায় তাদের বেশি করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খাওয়া উচিত

তিনটে প্রধান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন হোল বেটাক্যারোটিন বা betacarotene , ভিটামিন সি এবং ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রঙিন ফল শাক সবজির মধ্যে সাধারণত পাওয়া যায় বিশেষ করে রক্তবর্ণ , নীল , লাল , কমলা , হলুদ রঙ যার মধ্যে আছে

যে সকল খাবার থেকে পাওয়া যায় :

বেটাক্যারোটিন

ভিটামিন সি

ভিটামিন

আপ্রিকত , বিট , ব্রকলি , গাজর , ভুট্টা , আম , কয়াস, টমাটো , তরমুজ , মিষ্টি আলু , গোলাপি আঙ্গুর ,কুমড়ো, কিশমিশ ইত্যাদি

সকল প্রকার লেবু , টমাটো,ফল , অংকুরিত ছোলা ,পিয়াঁজ,পালং শাক,বাঁধাকপি,লাল লঙ্কা, ফুল কপি ,

আলু,মিষ্টি আলু,মটর শুঁটি,দুধ,দই,ঘোল ইত্যাদি

কিউই ফল , আলমন্ড , এভোকাড , ডিম , দুধ , বাদাম , সবুজ শাক সবজি , শস্যদানা , মাছের বা খাসির তেল ,নারিকেল,কলা,মাংস,সয়াবিন, মটর শুঁটি, ইত্যাদি

ট্রাইগ্লিসারাইড TRIGLYCERIDE

TRIGLYCERIDE

ট্রাইগ্লিসারাইড হলো এক ধরনের ফ্যাট বা লিপিড যেটা রক্তের মধ্যে প্রবাহিত হয় আমরা যখন খাবার খাই তখন মুহুর্তে যে ক্যালোরির প্রয়োজন হয় না সেটা শরীর ট্রাইগ্লিসারাইডে রুপান্তরিত করে এবং ফ্যাট সেলে জমা রাখে পরে হরমোন, দুটো খাবারের মাঝে ট্রাইগ্লিসারাইডকে ব্যবহার করে বা বলা যায় ফ্যাট সেল থেকে মুক্ত করে শরীরের এনার্জির জন্য কিন্তু কোলেস্টেরল (আরেক ধরনের লিপিড) ব্যবহৃত হয় কোষ গঠনে এবং কিছু হরমোন তৈরী করতে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেশি হওয়া মানে হার্টের রোগের সম্ভবনা

  • বিপদসীমার নীচে: ১৫০ mg/DL বা .mmol/L থেকে কম

  • বিপদসীমা : ১৫০ থেকে ১৯৯ mg/DL বা . থেকে . mmol/L

  • বিপদসীমার উপরে : ২০০ থেকে ৪৯৯ mg/DL বা . থেকে . mmol/L

  • খুব বেশি : ৫০০ mg/DL বা . mmol/L বা এর থেকে বেশি

যেহেতু এই লিপিডতা রক্তে দ্রবীভূত হয় না এবং প্রোটিনের সাহায্যে সারা শরীরে যাতায়াত করে তাই একে লিপপ্রটিনিস বা Lipoprotenis বলে এই ট্রাইগ্লিসারাইড ধমনীর দেওয়ালকে শক্ত বা পুরু করে তারফলে হার্টের রোগের সম্বভনাকে বাড়িয়ে তোলে এই ট্রাইগ্লিসারাইড রক্তে বেশি থাকলে আরও অনেক রোগ হওয়ার সম্বভনা প্রবল

ভালো থাকতে হলে :

  • শরীরের ওজন কমাতে হবে

  • প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালোরি না খাওয়া

  • প্রয়োজনের অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার না খাওয়া

  • স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খাওয়া

  • ধুমপান না করা

  • প্রতিদিন নিয়মত শারীরিক পরিশ্রম করা

  • মদ্যপান নিয়ন্ত্রিত করা

  • তন্তুযুক্ত ফল শাক সবজি বেশি পরিমানে খাওয়া

  • প্রচুর পানীয় গ্রহণ করা

রক্তের লিপিড প্রফাইল পরীক্ষা করলে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড মাত্রা জানা যায় থেকে ১২ ঘন্টা কোনো খাবার, কোনো পানীয় বা কোনো ঔষধ না খেয়ে পরীক্ষা করলে ঠিক ফল পাওয়া যায়

Please visit my You tube channel : https://www.youtube.com/cha…/UCwI8JNW7FmslSEXnG6_GAgw/videos

One thought on “অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা Antioxidant এবং ট্রাইগ্লিসারাইড TRIGLYCERIDE

Leave a comment