বয়স্কদের জন্য মালিকানাধীন আবাসন

ইন্টারনেট থেকে জানতে  পেরেছি যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বয়স্ক লোকদের জন্য বিশেষভাবে নকশা করা আবাসন আছে। এধরনের আবাসন সাধারণত “রিটায়ারমেন্ট হোমস” বা “সিনিয়র লিভিং কমিউনিটিস”নামে পরিচিত।যেমন- 

যুক্তরাষ্ট্র:

  • যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ধরণের সিনিয়র লিভিং কমিউনিটি আছে, যেমন স্বাধীন বসবাস (Independent Living), সহায়ক বসবাস (Assisted Living), এবং নার্সিং হোমস।
    • Sun City, Arizona এবং The Villages, Florida খুব জনপ্রিয় সিনিয়র লিভিং কমিউনিটিস।
  • কানাডা:
    • কানাডায় রিটায়ারমেন্ট হোমস এবং লং-টার্ম কেয়ার ফ্যাসিলিটিস রয়েছে।
    • কানাডিয়ান শহরগুলো, যেমন ভ্যাঙ্কুভার এবং টরন্টো, সিনিয়রদের জন্য উন্নত আবাসন ব্যবস্থা প্রদান করে।
  • ইউরোপ:
    • ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সিনিয়র লিভিং কমিউনিটি রয়েছে, যেমন জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, এবং সুইডেন।
    • জার্মানির কিছু শহরে সিনিয়রদের জন্য বিশেষভাবে নকশা করা কমিউনিটি আছে যেখানে স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।
  • অস্ট্রেলিয়া:
    • অস্ট্রেলিয়ায় সিনিয়রদের জন্য রিটায়ারমেন্ট ভিলেজেস রয়েছে যা স্বাধীন জীবনযাপন এবং সহায়ক বসবাসের সুবিধা প্রদান করে।
  • জাপান:
    • জাপানে বয়স্ক লোকদের জন্য “সিনিয়র লিভিং কমপ্লেক্স” এবং “নার্সিং হোমস” আছে।
    • জাপানে বয়স্কদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং সেবা দেওয়া হয়।

এই সব সিনিয়র লিভিং কমিউনিটিসের লক্ষ্য হল বয়স্কদের জন্য আরামদায়ক, সুরক্ষিত এবং সামাজিকভাবে সক্রিয় জীবনযাপনের সুযোগ প্রদান করা।

আমাদের দেশে সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে বয়স্ক পরিবারের সদস্যদের থাকার জন্য একটি সুন্দর এবং সুরক্ষিত আবাসনের পরিকল্পনা কি নেওয়া যায় না যেখানে বয়স্করা নিজেদের মত করে বাকি জীবনটা আনন্দে কাটিয়ে দিতে পারে । শুধুমাত্র কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে । যেমন –

  • পর্যাপ্ত আলো এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকতে হবে।
    • জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য এলার্ম সিস্টেম এবং ফোন সহজে অ্যাক্সেসযোগ্য হওয়া উচিত।
    • চলাচলের সুবিধার জন্য পর্যাপ্ত স্থান থাকা উচিত, বিশেষ করে যারা হুইলচেয়ার বা ওয়াকার ব্যবহার করেন।
    • বাথরুম এবং কিচেনে হ্যান্ডগ্রিপ লাগানো উচিত।
    • প্রবেশপথে কোনো সিঁড়ি না থাকা এবং সমতল পথ থাকা উচিত।
    • দরজার চৌকাঠ প্রশস্ত হওয়া উচিত যাতে হুইলচেয়ার সহজে প্রবেশ করতে পারে।
    • শান্ত ও নিরাপদ পরিবেশ থাকা উচিত।
    • বাড়ির আশেপাশে পার্ক বা খোলা জায়গা থাকলে ভালো হয়।
    • কাছাকাছি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ফার্মেসি থাকা উচিত।
    • সামান্য দূরত্বে মুদি দোকান এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবা থাকা উচিত।
    • সমাজিক মেলামেশার জন্য কমিউনিটি সেন্টার বা ক্লাব থাকা উচিত।
    • বয়স্কদের জন্য ক্যানটিন
    • প্রতিবেশীদের সাথে যোগাযোগের সুবন্দোবস্ত ।
    • সর্বোপরি T.V. connection and WIFI connection
    • এখানে থাকার মিনিমাম বয়স হওয়া উচিৎ ৬০ বৎসর ।  

এগুলো মাথায় রেখে বয়স্ক পরিবারের সদস্যদের জন্য এরকম সুন্দর এবং সুরক্ষিত আবাসন তৈরি করা হোলে অনেক বয়স্করাই বাকি জীবনটা হেসে খেলে দারুন আনন্দের সাথে কাটিয়ে দিতে পারে এবং সন্তানদের নিজেদের মত থাকতে দিতে পারে । যখন খুশি উভয়েই একসাথে কাটাতে পারবে আবার নিজেদের মত থাকতেও পারবে ।হঠাৎ করে এই পরিকল্পনাটা  মাথায় আসলো , খারাপ লাগলো না , তাই লিখে ফেললাম যদি এরকম পরিকল্পনা নিতে কেউ এগিয়ে আসে । একটা কথা খুব স্পষ্ট করে বলে রাখি যে আমি কিন্তু কোন এখনকার বৃদ্ধাশ্রমের কথা বলছি না । এই বাড়ি বা ফ্ল্যাটগুলো হবে বয়স্কদের জন্য মালিকানাধীন ।  

Leave a comment