<strong>রক্ত দেওয়া ভাল না খারাপ ?</strong>

রক্ত দেওয়া ভাল না খারাপ ?

  • রক্তের অভাবে প্রতিবছর বহু মানুষের প্রান যায় । যারা মন থেকে রক্ত দান করে তারা প্রকৃতপক্ষে অন্যের জীবন বাঁচায় । তাই রক্তদান সবসময়ই মহৎ কাজ ।
  • ইংল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা মাঝে মাঝেই রক্তদান করে তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কম থাকে ।
  • যারা মাঝে মাঝেই রক্তদান করে তাদের রক্তে কোলেস্টরেলের মাত্রা বেশ অনেকটাই কমে যায়, তারফলে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং  হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
  • রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কেননা রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মধ্যে অবস্থিত ‘বোন ম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। রক্তদানের ২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকা জন্ম হয়ে ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। আর বছরে ৩ বার রক্তদান শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলে ও নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়িয়ে দেয়।
  • রক্ত দিলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যায় ।
  • যাদের রক্তে আয়রন জমার প্রবণতা আছে,  রক্তদান তাদের জন্য খুব ভালো।
  • রক্তদাতাদের যদি নিজেদের কখনো রক্তের প্রয়োজন হয় তাহলে ব্লাড ব্যাংকগুলো তাদেরকে  রক্ত দেওয়ার ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেয়। 

রক্তদানের পর শরীরের হারানো রক্ত ​​পূরণ করতে কত সময় লাগে ?

শরীর 24 ঘন্টার মধ্যে রক্তরস এবং 6 সপ্তাহের মধ্যে লোহিত রক্তকণিকা প্রতিস্থাপন করে। একইভাবে, পুরো রক্ত ​​পূর্ণ হতে প্রায় আট সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

কারা রক্ত দিতে পারবেন?

যে কোনো শারীরিকভাবে সুস্থ নারী ও পুরুষ ১৮ বছর থেকে ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত রক্তদান করতে পারেন।পুরুষদের ক্ষেত্রে ওজন থাকতে হবে অন্তত ৪৮ কেজি এবং নারীদের ক্ষেত্রে থাকতে হবে অন্তত ৪৫ কেজি।এছাড়া রক্তদানের সময় রক্তদাতার তাপমাত্রা ৯৯.৫ ফারেনহাইটের নিচে এবং নাড়ির গতি ৭০ থেকে ৯০ এর মধ্যে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকতে হবে।পুরুষদের ক্ষেত্রে রক্তের হিমোগ্লোবিন প্রতি ডেসিলিটারে ১৫ গ্রাম এবং নারীদের ক্ষেত্রে ১৪ গ্রাম হওয়া দরকার। এছাড়া রক্তদাতাকে অবশ্যই ভাইরাসজনিত রোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ এবং চর্মরোগ মুক্ত থাকতে হবে।

হাইপারটেনশন কি রক্ত ​​দান করা থেকে আটকাতে পারে?

রক্ত দান করার সময় রক্তচাপ 180 সিস্টোলিক (প্রথম নম্বর) এবং 100 ডায়াস্টোলিক (দ্বিতীয় নম্বর) এর নিচে না হওয়া পর্যন্ত রক্ত নেওয়া উচিত না । উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ রক্তদান করাকে বিরত করে না।

 
ডায়াবেটিস রোগীরা কি রক্ত ​​দিতে পারেন?

শরীর সুস্থ থাকলে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিস রোগীরা রক্তদাতা হতে পারবেন। রক্তদানের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট করার আগে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করা উচিত।

কতদিন অন্তর রক্ত দেওয়া যায় ?

সাধারণত ৯০ দিন পর পর, অর্থাৎ তিন মাস পর পর রক্ত দেওয়া যাবে।

রক্তের কটা গ্রুপ আছে ?

রক্তের গ্রুপ মোট ৮ ধরণের: এবি পজিটিভ, এবি নেগেটিভ, এ পজিটিভ, এ নেগেটিভ, বি পজিটিভ, বি নেগেটিভ, এবং ও পজিটিভ, ও নেগেটিভ।

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s