একদমই না । ঘাম হওয়ার সাথে ক্যালোরি বার্নের বা মেদ ঝরার কোন সম্পর্ক নেই । তাই শরীরচর্চা করার সময় বেশি ঘাম বেরলে কক্ষনই মনে করা উচিৎ নয় যে অনেক ক্যালোরি বার্ন হয়েছে বা অনেক মেদ ঝরেছে । আসলে ঘাম হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার শরীরের একটি প্রক্রিয়া । শরীরের স্বাভাবিক কাজ করার জন্য মানুষের শরীরের যে তাপমাত্রার প্রয়োজন সেটা হোল ৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৯৭-৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট। যখন কোন কারণে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তখন শরীর, শরীর থেকে ঘাম বের করে শরীরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক রাখে ।অর্থাৎ সহজে বলা যায় শরীর ঘামে নিজেকে ঠান্ডা রাখার জন্য। জ্বরের সময় এটা খুব ভালভাবে বোঝা যায় । আমরা জানি জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় আবার জ্বর যখন কমে তখন দেখা যায় বেশ ঘাম হয় । শরীরচর্চার সময় বেশি ঘামা মানে শরীর গরম হয়ে উঠেছে, এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসার জন্য ঘাম বেরোচ্ছে।আবার দেখা যায় অতিরিক্ত গরমে বেশি ঘাম বেরোয় । তারমানে পারিপার্শ্বিক তাপে শরীর যখন গরম হয়ে ওঠে তখন শরীর নিজের থেকে শরীরকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ফিরিয়ে আনার জন্য শরীর থেকে ঘাম বের করে । আমাদের শরীর থেকে ঘাম বের করার জন্য আমাদের শরীরে থাকে সোয়েট গ্লান্ড । অনেকের শরীরে এর পরিমাণ বেশি আবার অনেকের শরীরে কম। অনেক সময়ে দেখা যায় খুব কম পরিশ্রম করেও কারও বেশি ঘাম হচ্ছে কারণ তার শরীরে সোয়েট গ্লান্ড বেশি। আবার শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে হাইড্রেটেড না হলে ঘাম কম হয়। অনেক সময় দেখা যায় কেউ কেউ শরীরচর্চা করার পরই ওজন মাপে এবং ওজন কিছুটা কম আসলে মনে করে যে সেটা ফ্যাট লস হয়েছে। আসলে সেটা কোন ফ্যাট লস না শরীর থেকে শুধু কিছু জল বের হয়েছে। ফ্যাট লস তখনি হবে যখন ক্যালরি ডেফিসিটে থাকবে।ভাবতে অবাক লাগে যে আমাদের শরীর নিজের থেকে কত কি করে শরীরটাকে ঠিক রাখার জন্য । যেমন শরীরের গরম লাগলে ঘাম বের করে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে আবার শরীরে ঠাণ্ডা লাগলে কাঁপুনি দিয়ে শরীর নিজেকে গরম করে ।
