পরিসংখ্যা বলছে আমাদের সাতটা মহাদেশে মোট ২২৮ মতো দেশ আছে । তারমধ্যে ১৬৯ মানে ৭৪% দেশ হচ্ছে Secular বা ধর্মনিরপেক্ষ অর্থাৎ বলতে পারি এইসব দেশগুলিতে ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার । বাকি ৫৯ মানে ২৬% দেশ হচ্ছে Non – Secular বা ধর্মনিরপেক্ষ নয় অর্থাৎ বলতে পারি এইসব দেশগুলিতে রাষ্ট্র ধর্মের দ্বারা পরিচালিত হয় । কোন একটি ধর্মকেই রাষ্ট্রের ধর্ম হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় । এবং আমার মনে হয় এইসব দেশের বেশিরভাগ নাগরিকের প্রছন্ন মদত আছে এই ব্যবস্থায় । হয়ত শিক্ষা দীক্ষায় , আচার ব্যবহারে তারা আধুনিক কিন্তু আসলে তারা তাদের ধর্মের প্রতি অন্ধ । কেননা এর বিরুদ্ধে সেইসব দেশের বেশিরভাগ নাগরিকদের আন্দোলন গড়ে তুলতে দেখিনি বা সারা পৃথিবীর সেইসব সম্প্রদায়ের মানুষদের এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে দেখিনি । সামান্য যে কজন এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তাদের স্বপক্ষে সেইসব সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ মানুষদের পাশে দাড়াতে আমি সেরকমভাবে দেখিনি ।ভাবতে অবাক লাগে এই একবিংশ শতাব্দীতেও মানুষের সাথে মানুষের মিলনের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে ধর্ম ।তা নাহলে এখনও পৃথিবীর ২৬% দেশ Non – Secular থাকে ।ভাবতে আবাক লাগে কেন এখনও সেইসব দেশের বেশিরভাগ জনগন রাষ্ট্রকে মৌলবাদীদের প্রভাব থেকে মুক্ত করতে পারছে না । পৃথিবীর সব দেশ যদি মৌলবাদীদের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে Secular বা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে নিজেদেরকে ঘোষণা করত , তাহলে আনন্দের সাথে এই সুন্দর পৃথিবীতে আমরা সবাই বলতে পারতাম –ধর্ম যার যার পৃথিবী সবার ।

Nalini Ranjan Chakraborty
ব্যাপারটা খুব সহজ। পৃথিবীতে কিছু ধর্মের মধ্যে হিংসা এবং অপর ধর্ম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠত্বের দাবি বেশ ফলাও করে প্রচার করা হয়। এছাড়াও তঅপর ধর্মাবলম্বীদের নিজের ধর্মে conversion এর মধ্যে তারা ঈশ্বর কর্তৃক আদেশ বলে ভেবে থাকে। তাই যত মত তত পথের মত উদার মনের অধিকারী তারা হতে পারে না। ফলতঃ হিংসা এবং ভেদাভেদ।
Chanchal Bhattacharya
খুব সুন্দর বলেছেন – “ধর্ম যার যার, পৃথিবী সবার”।
এটাই তো হওয়া বাঞ্ছনীয়।
তাছাড়া, সব ধর্মের-ই তো মূল কথা — ‘মানবিকতা’।
আসলে, ধর্ম বলতে আপাতদৃষ্টিতে আমরা যা বুঝি বা দেখি – তার অধিকাংশটি-ই তো, তৈরী করা ‘আচার’ – যার সাথে, আর যাই থাক, ধর্মের কোন যোগ নেই।
তথাকথিত ‘মৌলবাদ’ কিছু বিকৃতবুদ্ধি, সুবিধাভোগী ব্যক্তির মস্তিষ্ক প্রসূত হলেও, বৃহৎ শক্তির প্রচ্ছন্ন মদত ছাড়া, এ কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হতে পারতো না।
কারণ, বলার অপেক্ষা রাখে
না — এর মূলেও রয়েছে ব্যবসায়িক স্বার্থ, অস্ত্রের ব্যবসা।
মৌলবাদ, সন্ত্রাস – এ সব বন্ধ হলে, বলা বাহুল্য, তাদের অর্থনীতি টালমাটাল হবে।
তাই – – – – !!
LikeLiked by 1 person