প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে আমাদের দেশে যে পরিমাণ মানুষ করোনা ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হচ্ছে , তাতে এখনও যদি আমরা ঠিক মতো সচেতন না হই তাহলে এই মাহামারিকে প্রতিরোধ করতে আমরা পারবো না । তাই এই লেখাটা দিলাম যদিও জানি বিষয়টা সবার জানা । তবুও ......
সারাদিন ধরে জীবাণু , ভাইরাস , ব্যাকটেরিয়া শুনতে শুনতে সব গোলমাল হয়ে যাচ্ছিল । কোনটা জীবাণু , কোনটা ভাইরাস , কোনটা ব্যাকটেরিয়া এসব কিরকম গুলিয়ে যাচ্ছিল । জানিনা আপনাদের গুলিয়ে যাচ্ছে কিনা ? তাই আসুন আমরা বিশেষজ্ঞদের মত নিয়ে একটু আলোচনা করে নিই ব্যাপারগুলো নিয়ে ।প্লীজ কিছু মনে করবেন না একটু বোর করছি বলে ।
জীবাণু – জীবাণু সারা পৃথিবীতে, সব জায়গায়ই পাওয়া যায়। চারটি প্রধান ধরণের জীবাণু হ’ল ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস , ছত্রাক এবং প্রোটোজোয়া। তারা গাছপালা , প্রাণী এবং আমাদেরকে আক্রমণ করতে পারে এবং কখনও কখনও তারা আমাদের অসুস্থ করে তুলতে পারে। তাহলে আমরা বলতে পারি যে ভাইরাস আর ব্যাকটিরিয়া দুটোই হল জীবাণু ।
ভাইরাস – ভাইরাস হল ব্যাকটিরিয়ার চেয়েও ছোট অণুজীব এবং পরজীবী তার মানে তাদের অন্য কোন জীবন্ত কোষ বা টিস্যু প্রয়োজন যেখানে তারা বাড়তে পারে - যেমন মানুষ, গাছপালা বা প্রাণী । অন্যথায় এরা বাঁচতে পারে না। ভাইরাস হল ছোট আকারের এক সংক্রামক এজেন্ট , সংক্রামিত হলে, তার একটি হোস্ট সেল প্রাণী, উদ্ভিদ বা ব্যাকটেরিয়ার জীবন্ত কোষগুলিতে হাজার হাজার অভিন্ন অনুলিপি দ্রুত উত্পাদন করতে পারে । ব্যাকটেরিয়ার তুলনায় ভাইরাস গোত্রীয় সব জীবাণুর রোগ সংক্রমণ করার প্রবণতা অনেক বেশি হয়ে থাকে। যখন কোনও ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে, তখন এটি শরীরের কিছু কোষকে আক্রমণ করে তারপর দ্রুত ছড়িয়ে পরে ।
ব্যাকটিরিয়া - ব্যাকটিরিয়া হ'ল ক্ষুদ্র অণুজীব যা একক কোষ দ্বারা গঠিত যা বিভিন্ন ধরণের পরিবেশে বিকাশ লাভ করে। কিছু ধরনের ব্যাকটিরিয়া শীত বা গরমে চরম আকার ধারণ করে।এরা মানুষের শরীরের উপরে এবং ভিতরে দুই জায়গায় থাকতে পারে । বেশিরভাগ ব্যাকটেরিয়া নিরীহ , মানুষের কোনও ক্ষতি করে না । বেশ কিছু ব্যাকটিরিয়া আমাদের খাদ্য হজমে সহায়তা করে। তবে আবার ব্যতিক্রমও রয়েছে।আবার অনেক ব্যাকটিরিয়া সংক্রামক, যার অর্থ এগুলি ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে সংক্রামিত হতে পারে ।
আমাদের বেশি নজর দেওয়া উচিৎ সংক্রামক জীবাণুর উপর তা সেটা ভাইরাসই হোক বা ব্যাকটেরিয়াই হোক যাতে সেটা না ছড়াতে পারে । আর তার একমাত্র উপায় হল সংক্রমণ রোধ করা ।নিজেকে বাঁচাতে এবং অন্যদেরকে বাঁচাতে আমরা বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী নীচের কয়েকটি সাধারণ পদ্ধতি মেনে চললে সংক্রমণকে সহজেই প্রতিরোধ করতে পারি ।
· সর্বপ্রথম ভালো করে হাতের সামনের দিক ও পিছনের দিক সাবান দিয়ে ধোয়ার অভ্যাস করা । বিশেষ করে খাওয়ার আগে , টয়লেট করার পর , ভিড়ের থেকে আসার পর , কোনো অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শে আসার পর , গৃহপালিত জন্তুকে আদর করার পর , গণপরিবহনে যাতায়াতের পর
· হাত সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে না ধুয়ে চোখে, মুখে , নাকে, কানে হাত না দিলে অনেকাংশেই সংক্রামিত হওয়ার থেকে বাঁচা যায়
· এমন ভাবে মুখে পরিষ্কার মাস্ক পরে থাকা যাতে সর্দি, কাশি, হাঁচি দিলে তা বাইরে না যেতে পারে এবং কথা বলার সময় মুখ থেকে যাতে থুথু বাইরে না যেতে পারে
· বাইরে বেরলে অবশ্যই চোখে চশমা, মুখে মাস্ক আর হাতে গ্লাবস পড়তে হবে
· বাড়ি ফিরে চশমা , মাস্ক আর গ্লাবসকে নির্বীজিত করতে হবে
· টুপী পরে বাইরে বেরোনো ভাল নাহলে বাড়ি এসে মাথায় শ্যাম্পু করে নেওয়া
· একে অপরের থেকে একটু দূরে থাকা যাতে অন্যের মুখ থেকে কিছু গায়ে না লাগতে পারে
· বাইরে থেকে ফিরে জুতো বা চটি ঘরের বাইরে রাখতে পারলে ভাল নাহলে জুতো বা চটিকে ভালভাবে পরিষ্কার করে ঘরে রাখতে হবে
· বাইরে থেকে আসার পর হাতের মতো পাও ভাল করে সাবান দিয়ে ধুতে হবে
· একই বোতলে জল না খাওয়া বা একই পাত্র থেকে অনেকে খাবার না খাওয়া
· খাওয়ার আগে প্রতিটা বাসন ভাল করে ধুয়ে নেওয়া
- বাইরে থেকে কোন কিছু আনলে তা নির্বীজিত করা
- ঘরের বাইরে মোবাইল সবসময় স্পিকার মোডে দিয়ে কথা বলা আর বাড়িতে এসে প্রতিদিন মোবাইল নির্বীজিত করা
· অন্যের কোনো জিনিস ব্যবহার না করা আর যদি করতেই হয় তাহলে করার আগে ভালো করে ধুয়ে নেওয়া
- যদি কারও সিগারেট বা বিড়ি খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে খাওয়ার আগে অবশ্যই সেটাকে নির্বীজিত করে নেওয়া উচিৎ
· প্রচুর পানীয় গ্রহণ করা
· পরিপূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া Please visit my You tube channel : https://www.youtube.com/cha…/UCwI8JNW7FmslSEXnG6_GAgw/videos