লস ভেগাস থেকে অ্যারিজোনার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ান ২৭৫ মাইল । গ্র্যান্ড ক্যানিয়ানের এই গিরিখাতটি পৃথিবীর ২০০ কোটি বছরের এক নীরব সাক্ষী যেটা দৈর্ঘ্যে ২৭৭ মাইল এবং প্রস্থে সর্বোচ্চ ১৮ মাইল এবং গভীরতায় প্রায় ১৮০০ মিটার।ঐখান দিয়ে কলোরাডো নদী কোটি কোটি বছর আগে প্রবাহিত হতো । এখন প্রায় লুপ্ত । আমরা হোটেল থেকে ব্রেকফাস্ট সেরে রওনা দিলাম অ্যারিজোনা ।আকাশ মেঘলা ছিল । গ্র্যান্ড ক্যানিয়ান দেখে আমরা অ্যারিজোনার আরেকটা ছোট শহর পেজে রাত কাটাবো এই ঠিক ছিল । কিন্তু রাস্তায় প্রথমে বরফের বৃষ্টি ও তারপর বরফের ঝড় পেলাম । তার ফলে আমাদের গতিবেগ কমে আসলো ।বুঝতে পারছিলাম ক্যানিয়ান ভাল করে দেখা হবে না । রাস্তাতেই ঠিক হল দু একটা হোটেলের কাছকাছি টুরিস্ট স্পট দেখে সোজা চলে যাব পেজে,হোটেলে । পরেরদিন সকাল সকাল বেড়িয়ে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ান দেখে নেবো । ধীরে ধীরে গাড়ি চালিয়ে আমরা এসে পৌছালাম Horseshoe bend এ যেটা ক্যানিয়ানেরই একটা অংশ ।বড় গোলাপি পাথর কেটে যেন Horseshoe bend বানানো হয়েছে । কিন্তু আসলে এটা প্রাকিতিক নিয়মেই হয়েছে । এটা দেখতে বেশ কিছুটা হাঁটতে হয় । এরপর আমরা গেলাম Glen Canyon Dam দেখতে । অন্ধকার হয়ে আসছিল তাই আমরা পেজে হোটেলে চলে আসলাম । এখানে চিন দেশীয় লোকের বাস ভালই মনে হচ্ছিল । আমরা যে হোটেলে ছিলাম সেখানেও চিনা ভাষায় নিয়মাবলী লেখা ছিল ।পরেরদিন সকাল সকাল বেড়িয়ে পড়লাম গ্র্যান্ড ক্যানিয়ান ন্যাশনাল পার্কের রাস্তায় । রাস্তাটা শুধু পরিষ্কার করা কিন্তু রাস্তার দুধারে প্রচুর বরফ আর মনে হচ্ছে বরফের রাজ্যে আমরা প্রবেশ করেছি । ভালই ঠাণ্ডা । যেতে যেতে হটাৎ দেখি একটা গাড়ি বরফের মধ্যে আটকে আছে । কিছুতেই বেড় করতে পারছে না । বেড় করতে গেলেই বরফে স্লিপ করে যাছে । আমি ও আমার দুই ছেলে ঠাণ্ডার মধ্যেই নেমে পড়লাম গাড়ি থেকে । দেখি একজন চিন দেশীয় ভদ্রলোক গাড়ি চালাচ্ছেন সঙ্গে রয়েছে ওনার স্ত্রী আর মেয়ে । খুবই অসুবিধায় পরেছেন । আমাদের গাড়ি থেকে নামতে দেখে মনে কিছুটা জোড় পেলেন বলে মনে হল । আমরা খুব চেষ্টা করতে লাগলাম বরফের মধ্যে থেকে গাড়িটাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় তুলতে । কিন্তু পারছিলাম না । একটু পরেই আরও দুটো গাড়ি এসে পৌছাল । সবার চেষ্টাতে আমরা সফল হলাম । ওদের বিপদ কাটল । সবাই সবাইকে হাসি মুখে বিদায় জানিয়ে যে যার রাস্তায় এগিয়ে চললাম । আর হয়তো কোনদিন ওদের সাথে দেখা হবে না কিন্তু ঘটনাটা সারাজীবন মনে থাকবে । অনেকটা ছড়িয়ে এই গ্র্যান্ড ক্যানিয়ান ন্যাশনাল পার্ক । অসামান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গ্র্যান্ড ক্যানিয়নকে এনে দিয়েছে আমেরিকায় আগত পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণ । প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটক ছুটে আসেন গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের বাহারি রংয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।না দেখলে এটা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন । গোলাপি পাথর অনন্তকাল ধরে প্রাকিতিকভাবে এক একরকম চেহারা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । দুপাশে গোলাপি পাহাড় আর মধ্যেখান দিয়ে গেছে গিরিখাত । আমাদের মেদিনীপুরের গড়বেতাতে এর ছোট একটা অংশ দেখা যায় । তবে দুটোর মধ্যে তুলনা করা বৃথা । সারাদিন ধরে আমরা দেখলাম Grand Canyon , Marbel Canyon, Vermillion Cliff আরও কত কি যার নাম জানিনা । তারপর প্রায় ৬ ঘণ্টা জার্নি করে অনেক রাত্রে এসে পৌছালাম সল্টলেক সিটি ।


Please visit my You tube channel : https://www.youtube.com/cha…/UCwI8JNW7FmslSEXnG6_GAgw/videos
Jhumi Sengupta
Oshadharon
Apurba Neogi
Excellent life time experience described superbly.
Prakash Chatterjee
Darun
Aindrila Roy
Beautiful would be an understatement for this. Khub shundor🙂
Ruma Ghoshal
Awesome..
Priyabrata Panja
সুপ্রিয় দা তোমার এবারের ভ্রমনের কিছু কিছু পড়েছি,দারুন সুন্দর অভিজ্ঞতা।২০২০ র শুরুটা ভালোই হোল।এই বছর তোমাদের সুন্দর ও ভালো কাটুক এই শুভকামনা করি।ফিরে এসে ব্লগে ছবি সহ বর্ননা করো।ভালো লাগবে।ভালো থেকো।
Tapasi Banerjee
Beautiful.
Chanchal Bhattacharya
অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং
সুন্দর বর্ণনা।।
Ranjit Sen
Thank you for sharing your detail report of visiting places & liked your help extended to Chinese Gentleman……
Swapan Dattaray
Nice .
Reena Dasgupta
Apurbo
Kanti S
Apurbo lekha o chobe
Aparajita Sengupta
Khub sundar 👌👌👌👌
Bharati Banerjee
Advut sundor drishya
Anup Das
Supb!!!!
Soma Mustafi
Wow
Juthika Sinha
Dada Lekha abong pic darun darun
Biplabshankar Mazumder
প্রকৃতি যেমন উদার মনে ঢেলে নিজেকে সাজিয়ে রেখেছে ; ফটোগ্রাফার তার মনের সুখে সেটা লেন্সবন্দি ক’রেছেন।
LikeLiked by 1 person
THANKS TO ALL
LikeLike