চোখটা প্রায় লেগে গেছিল । হঠাৎ তোমার গুনগুন গান শুনে ঘুমটা ভেঙে গেল । আমরা প্লেনে এত জার্নি করেছি কিন্তু কোনদিন তোমাকে এভাবে প্লেনের মধ্যে গুনগুন করে গান গাইতে শুনিনি । বুঝতে পারছি তোমার মনটা খুব আনন্দে আছে । তা কত বছর বাদে তোমার গ্রামে ফিরছো ? আমারও তো তোমার গ্রাম দেখা হয়নি । – সিটের থেকে মাথা না তুলেই কথাগুলো বলল সাথী, সার্থককে ।
– তা সত্যিই খুব আনন্দ হচ্ছে । কিছুতেই ঘুম আসছে না । আজ প্রায় ত্রিশ বছর বাদে আমাদের গ্রামে যাচ্ছি । কত ঘটনা মনে পড়ছে । চোখের সামনে আমাদের গ্রামটা ভেসে উঠছে । চার পাশে ধানের ক্ষেত । মধ্যেখান দিয়ে একটু উঁচু মাটির রাস্তা । রাস্তার দুপাশ দিয়ে বেশ কটা খেজুর গাছ । শীতকালে এই সব খেজুর গাছে রসের জন্য হাড়ি ঝুলিয়ে রাখত । কত রস খেয়েছি ভোরবেলা ঐ হাড়ির থেকে ।কক্ষন মাথায় আসেনি বা বড়রা কেউ কোনদিন বলে নি যে ঐ হাড়ির রসটা hygienic কিনা । স্টেশনের পাশের জমিতে আঁশফল, ফলসা , আম , জাম , কাঁটাল আরও কত গাছ ছিল । ছোটবেলায় আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে স্টেশনে ট্রেন দেখতে আসতাম আর এই সব গাছ থেকে প্রচুর ফল খেতাম । যেহেতু রেলের জমিতে এই গাছগুলো ছিল তাই কেউ বকাবকি করত না । আমরা এক গাছ থেকে আরেক গাছে বাঁদরের মতো লাফিয়ে বেড়াতাম । জানো আমাদের স্কুল মাঠের পাশে একটা বড় পুকুর ছিল। সবসময় টলটল করতো জল । আমরা বিকালে স্কুল মাঠে ফুটবল খেলতে আসতাম । আর খেলার পর সবাই মিলে পুকুরে ঝাপ দিতাম । ভেজা কাপড়েই বাড়ি যেতাম । কোনদিন জ্বর হয়নি । – কথাগুলো বলে সার্থক সাথীর দিকে তাকাল । দেখল সাথী একদৃষ্টিতে সার্থককে দেখছে ।
– কি দেখছ অমন করে ?
– তোমার মুখটা দেখছি কেমন জ্বলজ্বল করছে । তুমি তোমার গ্রামকে খুব ভালোবাসো তাইনা ?
– ভালবাসবো না ? আমার ছোটবেলার কত স্মৃতি রয়েছে গ্রামের মাটিতে । ঐ ঘটনাটা না ঘটলে এতদিনে তোমায় কতবার গ্রামে নিয়ে যেতাম । কথাটা বলে সার্থক একটু গম্ভীর হয়ে গেল ।
সাথী বলল – তোমায় কতবার জিজ্ঞেস করেছি ঘটনাটা বলার জন্য । কিন্তু প্রত্যেকবার তুমি বলেছ সামান্য ঘটনা , ছাড়োতো । আজ তোমায় বলতেই হবে । এতদিন বাদে তোমাদের গ্রামে যাচ্ছি , আমার তো ঘটনাটা জানা উচিৎ ।কতবার তোমাদের গ্রামে যেতে চেয়েছি কিন্তু তুমি বারবারই বলেছ সময় হোক ঠিক নিয়ে যাব । বলোনা তোমার সাথে কি ঘটেছিল যে তুমি গ্রামে যেতে চাইতে না ।
একটু চুপ থেকে সার্থক বলতে আরম্ভ করলো – তখন আমি কলকাতায় কলেজে পরি । যেহেতু গ্রাম থেকে যাতায়াত করলে প্রচুর সময় যাতায়াতেই চলে যায় , পড়ার সময় কম পাওয়া যায় , তাই বাবা -মা আমাকে হোস্টেলে থাকার বন্দোবস্ত করে দিয়ে ছিল। ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে কাটিয়ে আসতাম । প্রথম সেমিস্টার শেষ হওয়ার পর গ্রামের বাড়িতে এসেছিলাম । ছোটবেলা থেকে আমি গ্রামেই বড় হয়েছি । ওখানকার বাংলা মিডিয়াম স্কুলেই পড়েছি। দারুন আনন্দে কাটছিল দিনগুলো । সেদিন কি একটা পুজো ছিল । গ্রামের মন্দিরে খুব ভিড় । আমরাও বন্ধুরা মিলে ভিড় জমালাম মন্দিরে । ভাল মন্দ প্রসাদ খাওয়ার আশায় । মন্দিরের আগের যে পুরোহিত ছিলেন ওনি মারা যাওয়াতে ওনার ছেলে গোপাল তখন মন্দিরের পুরোহিত । ও আমাদের স্কুলে আমার থেকে এক ক্লাস নীচে পড়তো । পড়াশুনায় একদমই ভাল ছিল না তাই ওর বাবা ছোটবেলা থেকে ওকে পুরহিতের সব কাজ শিখিয়েছিল । ওর বাবা মারা যাওয়ার পর গ্রামের বড়রা ওকেই বলল মন্দির সামলাতে । ও এক কথায় রাজি কারণ তাহলে আর পড়তে হবে না । মন্দিরে খুব ভিড় হয় । দূর গ্রাম থেকেও মহিলারা আসেন এই মন্দিরে পূজা দিতে । অনেকটা জায়গা নিয়ে এই মন্দির । মন্দিরের ভিতর উচু উচু অনেক গাছ ছিল । প্রচুর পাখি আসতো সারাদিন । ছায়াঘেরা এই মন্দিরে যখন ককিলের আওয়াজ শোনা যেত তখন মন্দির ছেড়ে যেতে আমাদের কারও মন চেতোনা । ফুলের গন্ধে , ধুপের গন্ধে মম করত চারিদিক । খুব সুন্দর এক পরিবেশ ছিল আমাদের এই মন্দিরটার । সেদিন হটাৎই চোখ পড়লো গোপালের উপর । বড় বড় চুল , মাথায় বিশাল তিলক কাঁটা , হলুদ ধুতি আর গায়ে সাদা পাঞ্জাবি পরে মন্দিরের চাতালে দাঁড়িয়ে আছে । মহিলারা মন্দির ছেড়ে যাওয়ার আগে ওর পায় হাত দিয়ে, কেউবা মাটিতে গড় হয়ে শুয়ে ওকে প্রনাম করছে । ও হাত তুলে সবাইকে আশীর্বাদ করছে । যারা প্রনাম করছে বেশীরভাগই ওর মায়ের বয়েসি । দেখে আমার মাথায় রক্ত উঠে গেল । দৌড়ে গেলাম ওর কাছে । সজোরে ওর গালে দিলাম এক থাপ্পড় । চীৎকার করে বললাম – লজ্জা করে না মার বয়সি মহিলাদের প্রনাম নিতে । বারন করতে পারছিস না । বিভিন্ন জনের নানা রকম পেশা আছে । তেমনি তোর পেশা পুরহিতগিরি করা । তুই এখানে পুরহিতের চাকরী করছিস । সবার প্রনাম নিস কোন সাহসে ।
হটাৎ থাপ্পড় খেয়ে ও একটু ঘাবড়ে গেল । এরকম ঘটনা আগেতো কোনদিন হয়নি । ও আমতা আমতা করছিলো । আমার বন্ধুরা আমাকে জোড় করে বাইরে নিয়ে গেল । দূর থেকে শুধু চিৎকারের আওয়াজ ভেসে আসছিল ।ব্যাপারটা নিয়ে গ্রামে দারুন সোরগোল পড়ে গেল । পঞ্চায়েত বসলো । পঞ্চায়েত বিধান দিল আমাকে সবার সামনে গোপালের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে । এটা নাকি ব্যাক্তি গোপালের উপর আঘাত না ,এটা ধর্মের উপর আঘাত । আমি শহরে পড়াশুনা করে নাকি নাস্তিক হয়ে গেছি । আমিও ঠিক করলাম আমি ক্ষমা চাইব না । কারণ আমি মনে করি আমি ঠিক করেছি । আমার মতো অনেকেই মনে করে আমি ঠিক করেছি । কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ধর্ম । খুব অভিমান হল যারা আমায় ভালবাসে তারাও আমার পাশে দাঁড়াচ্ছে না দেখে । কেবল মাত্র আমার কিছু বন্ধু আর আমার বাবা মা পাশে ছিল । কিন্তু পঞ্চায়েতের ক্ষমতা অনেক বেশী ছিল । তাই আমি গ্রাম ছাড়লাম । ঠিক করলাম গ্রাম আমায় না ডাকলে আমি আর গ্রামে ফিরব না।
তারপর অনেকগুলো বছর কেটে গেল আজ আমি সুপ্রতিষ্ঠিত । কিছুদিন আগে ভারত সরকার আমাকে ‘ ভারতবাসীর কৃতি সন্তান’ হিসাবে পুরস্কৃত করেছে । টেলিভিশনে , সব খবরের কাগজে আমার ইন্টারভিউ বেড়িয়েছে । তাই আমার গ্রামের লোকেরা আমার বাবা – মাকে ধরেছে আমাকে গ্রামে নিয়ে আসার জন্য । ওরা আমাকে সম্বর্ধনা দেবে । বাবা – মার কথা ফেলতে পারলাম না , তাই এত বছর বাদে গ্রামে যাচ্ছি । আমার খুব ইচ্ছা আমাদের গ্রামে গ্রামের ছেলে মেয়েদের নিয়ে একটা বিজ্ঞান মঞ্চ তৈরি করা আর একটা প্যাথলজিকাল ল্যাব তৈরি করবো যেখানে গ্রামের গরীব লোকেরা বিনা পয়সায় টেস্ট করাতে পারবে । বাবার সাথে কথা হয়েছে , আমাদের জমির থেকে কিছুটা জমি এই কাজের জন্য আমরা দান করবো । একটা ট্রাষ্ট বানিয়ে দেব ওরাই সব করবে ।
সাথীরও খুব আনন্দ হচ্ছিল এই প্রথম ও গ্রামের বাড়িতে যাবে । সার্থক কলকাতায় পাকাপাকিভাবে চলে আসাতে ওর বাবা মাও চলে আসে কলকাতাতে । তাই ওরও আর গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়নি । আর বিয়ে হওয়ার পর সার্থকের সাথে চলে যায় বিদেশে ।
সব জিনিসপত্র নিয়ে দমদম হাওয়াইআড্ডা থেকে বেড়তেই দেখা হল বাবা মার সাথে । বাবা- মার পাশে আরেক ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে । আমি ঠিক চিনতে পারছিনা । আমার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বলল – কিরে আমায় চিনতে পারছিস না ?
আমি একদৃষ্টে ওনার দিকে তাকিয়ে আছি দেখে বলে উঠলো – আরে আমি সৌম্য । স্কুলে একসাথে পরতাম । চিনতে পারছিস না ?
– ও সৌম্য , আজ কত বছর বাদে দেখা বলতো । সেই রোগা পাতলা সৌম্য আজ বিশাল বপুর অধিকারী । কি করে চিনবো বল ?( দুজনেই জোড়ে হেসে উঠলো ।)
– ও এখন তোদের স্কুলের হেডমাস্টার । ওটা এখন ১২ ক্লাস অবধি । সাইন্স , আর্টস , কমার্স সব পড়ানো হয় । – বাবা বললেন ।
দমদম থেকে বেড়িয়ে আমাদের গাড়ি ছুটে চলল আমাদের গ্রামের উদ্দেশে । আগে ট্রেনই ছিল একমাত্র ভরসা । এখন দেখছি ভাল রাস্তা হয়েছে । আমরা রাস্তা ধরেই যাচ্ছি । কোলকাতা শহর শেষই হচ্ছে না । যত এগচ্ছি কোন গ্রামই নজরে পড়ছে না । না দেখতে পারছি ধানের ক্ষেত , না দেখতে পারছি চালা ঘর । চলেছি তো চলেছি । হঠাৎ গাড়িটা দাঁড়িয়ে গেল । শাঁকের আওয়াজ আর উলু ধ্বনির আওয়াজে সম্বিৎ ফিরে পেলাম । আমাদের স্কুলের মাঠের সামনে আমাদের গাড়িটা এসে দাঁড়াল । দুপাশে সারি দিয়ে মেয়েরা আমাদের বরণ করছে । রোবটের মতো এগিয়ে চললাম সৌম্যর সাথে । স্কুলের মাঠে প্রচুর লোক আমার কথা শুনতে জমা হয়েছে । গ্রামের লোকের সাঁজ পোশাক , আচার ব্যবহার আমার কাছে একদমই অচেনা লাগছে । স্কুলের পাশে যে বড় পুকুরটা ছিল সেখানে দেখছি একটা বড় হাউজিং কমপ্লেক্স উঠেছে । স্কুল বাড়িটাকে আর স্কুল মনে হচ্ছে না , মনে হচ্ছে একটা বড় কলেজে ঢুকেছি । মাইকের আওয়াজ কিছুতেই আমার কানে ঢুকছে না । আমার ছেলেবেলার সেই সুন্দর মাটির গন্ধ মেশানো গ্রামটাকে আমার মন খুজে বেড়াচ্ছে । আগের মতন বুকভরা নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে । বারবারই মনে হচ্ছে কোলকাতা শহর থেকে এত দূরে চলে আসলাম অথচ কোন ধান ক্ষেত নজরে পড়লো না । ধীরে ধীরে গ্রামগুলো শহরে পরিণত হচ্ছে । ভাল ভাল চাষের জমিতে গড়ে উঠছে অট্টালিকা । এই ত্রিশ বছরে আমাদের দেশে অফিসিয়ালি জনসংখ্যা বেড়েছে ৪৭ কোটি । এত জনসংখ্যা বাড়ছে যে গ্রামগুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে । একদিন এমন দিন হয়তো আসবে যখন আর ভাল চাষের জমি থাকবে না । যে পরিমাণে জনসংখ্যা বাড়ছে এখনই তা আটকাতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবনে খুব কষ্ট আছে । হঠাৎ সার্থকদা ডাক শুনে ঘুরে তাকালাম । দেখি মাইকে হাতে গোপাল পুরোহিত । সেদিনকার ঘটনা ও সবিস্তারে বর্ণনা করে বলল – সার্থকদা গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আমার বন্ধুরা কেউ আমার সাথে কথা বলত না । আমি আমার ভুল বুঝতে পারলাম । তারপর থেকে আজ অবধি আমি কারও প্রনাম নিইনা । সার্থকদা দয়া করে আমায় ক্ষমা কোর ।
আমি উঠে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলাম । সবাই হাততালি দিয়ে উঠলো । ধীরে ধীরে কিছু পুরানো মানুষের মুখ দেখতে পেলাম । সৌম্য কানে কানে এসে বলল যে আমাদের ক্লাসের বন্ধুরা প্রায় সবাই এসেছে। অনুষ্ঠানের পর সবাই একসাথে বসবো । শুনে খুব ভাল লাগলো । আমি আমার বক্তব্য রাখতে গিয়ে আমার ইচ্ছার কথা বললাম । আমাদের জমিতে একটা বিজ্ঞান মঞ্চ আর একটা প্যাথলজিকাল ল্যাব তৈরি করা যেখানে গ্রামের গরীব লোকেরা বিনা পয়সায় টেস্ট করাতে পারবে ।সবাই করতালি দিয়ে আমাকে সমর্থন করলো । আবার মনে হচ্ছে আমার গ্রামটাকে কিছুটা হলেও যেন ফিরে পাচ্ছি । সব মান অভিমান মিটে যাওয়াতে বাবা – মা , সাথী সবাই খুব খুশী । আবার সেই পুরানো দিনগুলোকে ফিরে দেখার চাহিদা অনুভব করছি ।
Please visit my You tube channel : https://www.youtube.com/cha…/UCwI8JNW7FmslSEXnG6_GAgw/videos
Papia Kargupta
Darun Darunnnn !
Kanti S
Gopal purohit nejer bhul bujeche khub bhalo laglo galpota
Reena Dasgupta
Tomar lekha porte bhalo lage
Chanchal Bhattacharya
ভালো লাগলো।।
Pradip Kumar Das
Khub sundor lekha, chalea jao bandhu
Apurba Neogi
Excellent. Superbly written with matching photograph.My heartiest best wishes to you for this wonderful story. I request you to post your stories whenever you wish.
Tapasi Banerjee
Excellent.
Bijoli Chowdhury
Darun. Valo. Laglo
Sonali Biswas
এতো দারুণ গল্প। সার্থক।
Priyabrata Panja
সুপ্রিয়দা ভালো লিখেছো।কোথাও তোমার মনে গ্রাম সম্পর্কে ভালোলাগা আছে।নিজের অভিজ্ঞতা না কল্পনার গ্রাম জানার ইচ্ছা রইল।মাঝে মাঝে এইরকম লেখো।আমি গ্রামের ছেলে,ছোট বেলার পরিবেশ আর নেই,কয়েকদশকের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিবর্তনে কবিদের লেখা গ্রাম আর নেই।আধুনিক সভ্যতার হাত ধরে আমরা কি হারালাম,আর কি পেলাম তার বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করি।আমরা এগোচ্ছি না পিছিয়ে পড়ছি বোঝার চেষ্টা করছি,বিশেষ করে মানবিক মূল্যবোধের সূচকে।
Champak Mitra
কল্পনাতীত ভাবনায় কোনো এক গ্রামের বর্ণনা বেশ দারুন লাগল শুধু অবস্থান জানা গেল না। গ্রাম এবং শহরের মধ্যে মানসিকতার পরিবর্তন ঘটনার প্রচেষ্টা অতুলনীয়।সামাজিক বিবর্তনে গ্রামাঞ্চল শহরে রুপান্তরিত হচ্ছে।ক্রমান্নয়ে আগের মত সেই গ্রাম আর পাওয়া দুষ্কর।
Bani Paul
Darun, ķhub valo laglo,
Mita Sengupta
Khub sundor ekta golpo
Aparajita Sengupta
তোমার চোখ দিয়ে দেখা গ্রামের বর্ণনা পড়ে nostalgic হয়ে পড়লাম ।সঙ্গে ছবি খুব মানানসই হয়েছে ।গল্পটা সুন্দর লিখেছ।
Jhumi Sengupta
Khub shundor lalmama
LikeLiked by 1 person
THANKS TO ALL
LikeLike