- সাদা না কালো , কোনটা ভালো


আমাদের শরীরের উপর থেকে চামড়াটা ছাড়িয়ে নিলে তার ভিতরের রঙটা সবারই মনে হয় এক । ছাল ছাড়ান অবস্থায় সমস্ত মুরগীর রঙ যেমন একই লাগে । উপরের চামড়াটার জন্যই তো যত ঝামেলা – পরিচয় হয় ফর্সা না কালো , সাদা চামড়া না কালো চামড়া । অথচ আমরা কি জানি যে আমাদের আদিম মানুষের রঙ কি ছিল বা কি কারণে আমাদের চামড়ার রঙ সাদা বা কালো । গবেষকদের মত অনুযায়ী প্রায় ২০০,০০০ বৎসর আগে আমাদের আদিম মানুষের রঙ ছিল কালো এবং তারা থাকতো বিষুব রেখার কাছকাছি যেখানে আলটা ভাইওলেত রশ্মির বিকিরণ বেশি বা বলা যায় যেখানে সূর্যের কিরন বেশি । মানুষ যখন নিজেদের প্রয়োজনে বিষুব রেখার থেকে দূরে গিয়ে থাকতে লাগলো , তখন তাদের শরীরে আলটা ভাইওলেত রশ্মি কম লাগতে লাগলো কারন সেখানে সূর্যের কিরন কম । অনেক বৎসর লাগলো ঠিকই কিন্তু মানুষের চামড়ার রঙ ধীরে ধীরে কালো থেকে সাদা হতে লাগলো । গবেষকদের মত অনুযায়ী সময় লাগলো প্রায় ৫০,০০০ বৎসর । তারপর বংশানুক্রমে চলে আসছে সাদা আর কালো চামড়া । কিন্তু এখনও চলছে পরিবর্তনের ধারা । গবেষকদের মত অনুযায়ী লাগছে প্রায় ১০০ টি প্রজন্ম । যে প্রধান পদার্থের উপর চামড়ার রঙ নির্ভর করে তার নাম মেলানিন (Melanin)। আমাদের চুলের রঙও এই পদার্থের উপরই নির্ভর করে । চুলের রঙ সাদা হলে তাকে আমরা কালো করি আবার শরীরের রঙ কালো হলে তাকে সাদা করার আপ্রান চেষ্টা করি । কিন্তু আমরা কি জানি Dark skin reduces the incidence of skin cancer and sunburn । আমাদের একসময়ের শাসক অর্থাৎ ইংরেজদের রঙ সাদা চামড়া ছিল বলেই কি আমাদের বেশিরভাগ সাদা চামড়ার প্রতি আকৃষ্ট ! তাই কি এখনও বিজ্ঞাপনে দেখতে পাওয়া যায় –“ফর্সা পাত্রী চাই “।
সাদা চামড়া বা কালো চামড়ার বদলে আমাদের বলা উচিৎ হালকা বা ঘন চামড়া । হালকা চামড়ার রঙ হয় নীল -সাদা । তার নীচ দিয়ে শিরার মধ্য দিয়ে লোহিত কণিকা প্রবাহিত হয় বলে চামড়ার রঙ লালচে লাগে । যেটা রেগে গেলে ভালো বোঝা যায় । মুখমণ্ডল হয়ে ওঠে রক্তবর্ণ । হালকা চামড়ার মানুষদের দেখতে পাওয়া যায় সমুদ্রের ধারে রৌদ্রের মধ্যে শুয়ে থাকতে কারন তাদের দরকার সূর্যের থেকে ভিটামিন ডি । শরীরে ক্যালসিয়াম গ্রহন করতে এই ভিটামিন ডি দারুনভাবে সাহায্য করে ।
হালকা চামড়ার মানুষ বেশি দেখা যায় ইউরোপ, পূর্ব ও পশ্চিম এশিয়া , সুমেরু অঞ্চল ও আমেরিকাতে । আর ঘন চামড়ার মানুষ বেশি দেখা যায় গ্রীষ্ম প্রধান আফ্রিকা , ভারতবর্ষের দক্ষিণ অংশ , ইন্দোনেশিয়া , মেলানেসিয়া ও অস্ট্রেলিয়াতে । মোটামুটি বলা যায় যারা অনেকদিন ধরে বিষুবরেখার কাছাকাছি থাকে তাদের চামড়ার রঙ হয় ঘন আর যারা উত্তর বা দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি অনেকদিন ধরে থাকে তাদের চামড়ার রঙ হয় হালকা ।
তিল মানুষের শরীরে কেন হয়? এর উপকারিতা বা অপকারিতা কি ?

যে কোন মানুষের শরীরেই তিল হতে পারে । কারও হয় জন্মগত , আবার কারও পরেও হতে দেখা যায় । চামড়ার রঙ সাদা বা কালো কেন হয় , সেটা আমার আগের একটা লেখাতে পরিষ্কারভাবে লিখেছি যে, যে প্রধান পদার্থের উপর চামড়ার রঙ নির্ভর করে তার নাম মেলানিন (Melanin)। আমাদের চুলের রঙও এই পদার্থের উপরই নির্ভর করে । এই মেলানিন হল এক ধরনের কালচে – বাদামী রঙের রঞ্জক কণা যেটা হয় মেলানোব্লাসট কোষের ভিতরে । এরা আমাদের চামড়ার নিচে থাকে । কোন কারণে চামড়ার নিচের কোন জায়গায় এই মেলানিন কণা যদি একসাথে জমা হয় তাহলে সেখানে কালো বা বাদামী ফুটকি তৈরি হয় । আর সেটাকেই বলা হয় তিল ।
শরীরের যে কোন জায়গায়ই শারীরিক কারণে তিল হতে পারে। তার মানে এই নয় যে , যার হাতে তিল আছে তার খুব টাকা হবে , যার পায়ে তিল আছে তার খুব বেড়ানো হবে বা যার পেটে তিল আছে সে খুব ভাগ্যবান হবে – এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই । কাকতালীয় ভাবে কারও কারও মিলে যেতে পারে। সবার ক্ষেত্রে কোনমতেই হওয়া সম্ভব না । শুধু একটাই খেয়াল রাখতে হবে যে তিল ক্রমাগত বড় হতে থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ । এছাড়া তিল কোন ক্ষতি করে না ।
Please visit my You tube channel : https://www.youtube.com/cha…/UCwI8JNW7FmslSEXnG6_GAgw/videos
অাত্ম দর্শন বা দেহ তত্বে তিলে অনেক গুরুত্ব তত্ব বহন করে,সাদা কাল লাল তিন প্রকারে বেশী দেখা যায় তবে স্থান বিশেষ এই তিরের গুরুত্ব ও অাছে, বিজ্ঞান যত যুক্তি দেওক না কেন অত্ম দর্শনে বিজ্ঞানের দুধের দাত ও উঠে নাই, এক জন সাধু বা সুফি বা চৈতন্য জ্ঞানীর কাছে বিজ্ঞান কিছুই না,যেমন মহাকালে উর্ধে কিছুই না,তাই বিজ্ঞান অনেক তত্বই দিতে পারেনা দেহের বা অাত্ম দর্শনে/
LikeLike
Pradip Kumar Das
Good information
Papia Kargupta
Valo laglo pore onek kichhu jante parlam
Apurba Neogi
Thanks a lot for explaining the matter so beautifully which enriched us.
Kanti S
Khub bhalo onek kichhu jana galo
Swapan Dattaray
Nice .
Aloka Mitra
Khub bhalo lage আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু জানা যায় বেবির কথা খুব মনে পড়ে একবার আসুন সবাই মিলে প্রগ্রাম করি
Aparajita Sengupta
Valo laglo pore,onek kichu janlam
LikeLiked by 1 person
THANKS TO ALL
LikeLike