২০.০১.২০১৯ দমদম হাওয়াই আড্ডা থেকে বিকেল ৪ টা ২৫ মিনিটে Go Air এর প্লেন আমাদের নিয়ে যাত্রা করলো আমেদাবাদের উদ্দেশ্যে । ২ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট লাগলো আমাদের আমেদাবাদ হাওয়াই আড্ডা পৌছাতে । হাওয়াই আড্ডা থেকে বেড়িয়ে একটা cab নিয়ে সোজা পৌঁছে গেলাম আমেদাবাদ রেল স্টেশনের পাশে আমাদের জন্য নির্ধারিত হোটেলে ।
পরেরদিন সকাল ৯ টা ৪০ মিনিট আমাদের ট্রেন শালিমার এক্সপ্রেস আমেদাবাদ স্টেশন থেকে আমাদের নিয়ে চলল ভুজ । বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিট নাগাদ আমরা পৌছালাম ভুজ । আসার পথে ট্রেন থেকে দুদিকেই দেখলাম অনেক wind mill , আর দেখলাম বিরাট অঞ্চল জুড়ে সমুদ্রের জল ধরে লবণ তৈরি করার পদ্ধতি । চারপাশে সাদা হয়ে রয়েছে লবণের ঢিপিতে ।প্রথমে ভেবেছিলাম বরফ । তারপর বুঝলাম চারিদিকে শুধু লবণ আর লবণ । পাশাপাশি রয়েছে লবণ তৈরির কারখানা । ভুজে ঢোকার আগে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে আম আর খেজুরের বাগান দেখে চোখ জুরিয়ে গেল । ট্রেনের এক সহযাত্রীর মুখে শুনলাম দেশ ভাগের সময় প্রচুর সিন্দ প্রদেশের লোক এই অঞ্চলের আশে পাশে পাকিস্থান থেকে এসে এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে । ভুজ শহর দেখলে কখনই মনে হবে না যে কিছু বছর আগে এখানে প্রবল ভুমিকম্পে সব শেষ হয়ে গেছিল ।
২২.০১.২০১৯ সকাল ৬ টায় bed tea এর আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিল । সকাল ৮ টার মধ্যে আমরা সবাই breakfast সেরে বেড়িয়ে পড়লাম ভুজ শহর দেখতে। প্রথমে গেলাম স্বামী নারায়ন মন্দির। অনেকটা জায়গা জুড়ে বিশাল মন্দির। শ্বেত পাথরের উপর দারুন সব সুন্দর কাজ যা দেখে চোখ জুরিয়ে যায় । কিন্তু মন খারাপ লাগে যখন দেখি পরিষ্কার লেখা আছে যে প্রধান মন্দির কক্ষে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ । আজকের এই আধুনিকতার যুগেও ধর্মের বিধি – নিষেধ যদিও এটা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র । ওখান থেকে বেড়িয়ে গেলাম প্রাগমহল ও আয়না মহলে । পাশাপাশি দুই কচ্ছ রাজাদের মহল। অন্য সব প্যালেসের মতই রাজা মাহারাজাদের ব্যবহার করা এবং উপহার পাওয়া সব জিনিষপত্র । ২০০১ এর ভয়ঙ্কর ভুমিকম্পে এই দুই প্রাসাদের ক্ষতি হয়েছে ঠিকই কিন্তু ভেঙে পড়েনি । তারপর কচ্ছ museum দেখে হোটেল ফিরলাম দুপুরের খাবার খেতে।দুপুরের খাবার সেরে ২ টা নাগাদ বেড়িয়ে পড়লাম রন অফ কচ্ছ দেখতে । ভুজ থেকে রন অফ কচ্ছ ৯০ কিমি , গাড়িতে লাগলো ২ ঘণ্টার থেকে একটু কম । গিয়ে দেখি সামনে ধু ধু করছে রন অর্থাৎ লবণের মরুভূমি । এপার ওপার কিছুই দেখা যাচ্ছে না। লবণের ওপর ধুলো পরে সাদা রং হয়েছে ধূসর । তবে হাত দিয়ে বা পা দিয়ে ঘষলেই বেড়িয়ে পড়ছে সাদা রঙের লবন। পাথরের মত শক্ত । জায়গাটার নাম দেখলাম Dhordo । কদিন ধরে এখানে চলছে রণ উৎসব । মরুভূমিটি প্রায় ১০,০০০ বর্গমিটারের বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে এবং এটি কচ্ছ উপসাগরে এবং দক্ষিণ পাকিস্তানে সিন্ধু নদীটির মোহনা পর্যন্ত বিস্তৃত।রাজ্যের কচ্ছ রণের উত্তর-পূর্ব কোণে লুনি নদী রয়েছে যার উৎপত্তি রাজস্থানে।সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সূর্যাস্ত দেখে হোটেলে ফিরলাম । সমুদ্রতে সূর্যাস্ত দেখার যে স্বাদ এখানেও অনেকটা তাই পেলাম । সুন্দর একটা দিন কাটাইলাম । আগামীকালের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ।
সকাল সাড়ে ৮ টার মধ্যে স্নান সেরে breakfast কোরে সবাই রেডি । আমরা Mandvi যাব সমুদ্র দেখতে । আমাদের ভুজের হোটেল থেকে প্রায় ৮৭ কিমি দূর ।৯ টা নাগাদ রওনা হয়ে প্রথমে দেখতে গেলাম Syamji Krishna Varma and his wife Bhanumati Varma এর অস্থি কলস । বিশাল জায়গা নিয়ে অনেক খরচা করে এটা বানানো হয়েছে । ওখান থেকে এলাম রাজা Vijay Vilas এর palace দেখতে । বিশাল জায়গা নিয়ে এই রাজপ্রাসাদ । ভুজে প্রাগ মহল ও আয়না মহল যাদের , তাদেরই এই প্রাসাদ । এই রাজা বিয়ে করে ছিলেন ত্রিপুরার রাজার মেয়ে পার্বতীকে । মাঝে মাঝে রাজার বংশধররা নাকি আসেন এই প্রাসাদে ছুটি কাটাতে । এরপর এই প্রাসাদ থেকে ৩ কিমি দূরে সমুদ্র তটে গিয়ে পৌছালাম । সুন্দর বিচ । অনেকক্ষণ সময় কাটালাম । সবাই খুব আনন্দ করলাম । তারপর হোটেলে ফিরে দুপুরের আহার সারলাম । বিকাল বেলা পুরো রেস্ট । কাল সকাল সকাল রওনা হবো দ্বারকা ।
সকাল সাড়ে ৭ টায় আমরা রওনা হলাম দ্বারকার উদ্দেশে । বাসের মধ্যে সারা হল break fast । জ্যাম পাউরুটি , কলা , ডিম আর মিষ্টি ।আমাদের ভ্রমণ সঙ্গীরা এতো ভাল ছিল যে বার বার মনে হচ্ছিল ২৪ শে জানুয়ারি আমরা সবাই মিলে পিকনিক করতে বেড়িয়েছি । গানে , গল্পে সবাই এমন মাতিয়ে রেখেছিল যে journeyটা journey বলে মনেই হয়নি । রাস্তায় একটা ডাবাতে দাঁড়িয়ে সারা হল lunch । তারপর একটানা চলে আমারা বিকাল ৫ টায় দ্বারকা পৌছালাম । হোটেলে জিনিষ রেখে চললাম মন্দির দেখতে । ঘোড়ার রথের মতো দেখতে ৮০০ বছরের পুরানো ও ৫৭ মিটার উঁচু কৃষ্ণ মন্দিরের রয়েছে এখানে । এখানে কৃষ্ণের নাম রনছোরজি । মূর্তি দর্শনও হল । আশপাশ ঘুরে হোটেলে ফিরলাম কেননা একটু রাত হয়ে গেছিল । পরের দিন সকাল সকাল breakfast সেরে চললাম সমুদ্রের পাড়ে ।Gulf of Kutch দেখতে , বিশাল নীল জলরাশি । তবে ঢেউ খুব ছোট । স্নান করার মজা নেই । বেশ কিছুক্ষণ সমুদ্রের ধারে কাটিয়ে মন্দিরের দিকে চললাম । গতকাল রাত্রে যে দিকে গেছিলাম আজ সকালে পৌছালাম তার পেছন দিকে । উঁচু সিঁড়ি উঠে গেছে মন্দিরের মুখ পর্যন্ত । মন্দিরের ভিতর মোবাইল , ক্যামেরা নিয়ে যেতে দেয়না । মন্দির ঘুরে হোটেলে ফিরে আসলাম । দুপুরবেলার খওয়া সেরে সবাই মিলে চললাম ভেট দ্বারকা দেখতে । যাওয়ার পথে প্রথমে পড়ল কৃষ্ণের প্রথম স্ত্রী রুক্মিণী দেবীর মন্দির । খুব একটা বড় মন্দির না । তারপর কিছুটা যেতেই দেখতে পেলাম Tata Chemicals এর বিশাল factory যেখানে টাটার লবণ তৈরি হচ্ছে । এরপর আমরা ফেরী ঘাটে গিয়ে পৌছালাম স্পীড বোটে ভেট দ্বারকা যাওয়ার জন্য । কেননা ভেট দ্বারকা একটা দ্বীপ । সমুদ্রের উপর দিয়ে বোটে কোরে যাওয়ার আনন্দই আলাদা । এখানকার সমুদ্র শান্ত । ওপারে গিয়ে কিছুটা এগোতেই পেলাম মন্দির। এখানেও মন্দিরের ভিতর মোবাইল , ক্যামেরা নিয়ে যেতে দেয়না । মন্দির দর্শন কোরে আবার বোটে কোরে এপারে ফিরলাম । যেহেতু আমাদের জন্য একটা আলাদা বোট ছিল তাই আমরা সবাই মিলে খুব আনন্দ করতে করতে ফিরছিলাম । চারিদেকের প্রাকিতিক দৃশ্য আমাদের মন মাতিয়ে দিচ্ছিল । তারপর হোটেলে ফেরার পথে দেখলাম নাগেশ্বর মন্দির । শিবের এক বিশাল মূর্তি রয়েছে এখানে । দ্বারকা , ভেট দ্বারকা দেখা শেষ । পরদিন যাব সোমনাথ।
সকাল নটায় রওনা দিয়ে রাস্তায় breakfast ও lunch সেরে সোমনাথ পৌছালাম। বিকাল চারটে নাগাদ । পথে পড়ল পোর বন্দর যেখানে গান্ধীজীর জন্মস্থান । জানিনা এটা কাকতালীয় কিনা । আজ ২৬শে জানুয়ারি । প্রজাতন্ত্র দিবসে গান্ধীজীর জন্মস্থানে । বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগলো দেখতে । গান্ধীজীর পরিবারের যে অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল ছিল তা বাড়ি দেখলেই বোঝা যায় । দ্বারকা থেকে সোমনাথ অবধি একটা বড় রাস্তা তৈরি হছে দেখলাম । গুজরাটের মোটামুটি প্রধান রাস্তাগুলো ভালই দেখতে পাচ্ছি । এখানে রাস্তার জন্য জমি অধিগ্রহন করার সমস্যা নেই বললেই চলে । কেননা প্রচুর ফাঁকা জমি রয়েছে । পরেরদিন সকাল বেলা সবাই মিলে চললাম সোমনাথ মন্দির দেখতে । সোমনাথ মন্দির দেখার আগে গেলাম গীতা মন্দির বা গোলক ধাম দেখতে। কৃষ্ণের মন্দির। এখানে মন্দিরের চাতালের একদিকে কিছুটা জায়গা একটা পায়ের ছাপ দেওয়া একটা পাথরের অংশকে ঘিরে রাখা হয়েছে। মন্দিরের পুরোহিত বললেন ওটা শ্রীকৃষ্ণের স্ মাধি । ওখান থেকে আমরা গেলাম প্রভাস বা ত্রিবেণী যেখানে রয়েছে তিন নদীর মিলন । হিরণ , কপিল আর সরস্বতী । এরপর গেলাম যার জন্য আসা সেই সমুদ্রের ধারে বিশাল সোমনাথ মন্দির । মন্দিরের ভিতরে মোবাইল , ক্যামেরা , কোন চামড়ার ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে দেয় না । মন্দিরে ঢোকার আগেই রয়েছে luggage room যেখানে সব জিনিষ পয়সা দিয়ে রাখা যায় । অনেকটা জায়গা নিয়ে সুন্দর মন্দির । সারা মন্দির জুড়ে সুন্দর পাথরের কাজ । আর মন্দিরের একদম ভিতরে সোনার কাজ দেখার মতো । ধাক্কাধাক্কা নেই তাই সবারই সুন্দর দর্শন হয় । পাশেই অসীম নীল সমুদ্র ।অসাধারন পরিবেশ । নূতন মন্দির ও পুরানো মন্দির রয়েছে পাশাপাশি । দুটো মন্দির দেখে আমরা বাণ গঙ্গা দেখতে গেলাম । সমুদ্রের ধারে তিনটি শিব লিঙ্গ আছে । ওখান থেকে নাকি তীর ছোড়া হয়েছিল যেটা গিয়ে শ্রীকৃষ্ণের পায়ে লাগে । ফিরে আসলাম হোটেলে । খাওয়া দাওয়া সেরে একটু রেস্ট নিয়ে বিকাল বিকাল চললাম আবার সোমনাথ মন্দিরে light & sound programme দেখার জন্য । ৩০ টাকা কোরে টিকিট । পোনে আটটায় শুরু হয়ে শেষ হল সাড়ে আটটায় । আমিতাভ বচ্চনের পাঠের সাথে মন্দির জুড়ে আলো আর শব্দের খেলা । ভালই লাগলো । তারপর ফিরে আসলাম হোটেলে । পরের দিন সকালে রওনা হবো দিউ ।
২৮/০১/২০১৯ Breakfast সেরে সকাল সাড়ে নটায় আমরা বাসে রওনা হলাম দিউ এর উদ্দেশ্যে । গুজরাটের যেখানে যাচ্ছি internet connection ভালই পাচ্ছি । আর একটা কথা না বলে পারছি না যে এখানকার লোকজনদের ব্যবহার বেশ ভাল । ঠিক দুপুর ১২ টায় আমরা সদলবলে দিউ পৌঁছলাম । মাঝে মাঝে রাস্তা কিছুটা খারাপ ছিল । Lunch সেরে দিউ ঘুরতে বেড়িয়ে পড়লাম । প্রথমে গেলাম Nagoa Beach এ । দুপুর বেলা সমুদ্রের বীচে ঘুরতে প্রথমে আমার আপত্তি ছিল । কিন্তু পরিবেশ এতো ভাল ছিল যে বীচে ঘুরতে কারও কোন কষ্ট হচ্ছিল না । তাই মেনে নিয়ে ছিলাম । দারুন সুন্দর বীচ । অর্ধ গোলাকার বীচ । অনেকক্ষণ বীচে সমুদ্রের ধারে খুব আনন্দ করে , গেলাম কিছুটা দূরে সমুদ্রের ধারে Gangeshwar Temple দেখতে । সিঁড়ি দিয়ে নেমে একেবারে সমুদ্রের গায়ে যেখানে রয়েছে একটা পাথরের গুহা আর রয়েছে একবারে মাটির সাথে লাগান তিনটি শিবলিঙ্গ । দেখে মনে হোল সমুদ্রের জল বাড়লেই শিবলিঙ্গগুলি ঢুবে যায় । ওখান থেকে গেলাম সমুদ্রের ধারে INS KHUKRI MEMORIAL । ১৯৭১ সালে ভারত পাকিস্থান লড়াইয়ের সময় যে জাহাজটি বেশ কিছু India Naval Army নিয়ে ডুবে গেছিল , তার স্মৃতি রক্ষারতে এটা বানানো হয়েছে । সমুদ্রের ধারে একটা ছোট্ট টিলার উপর বানানো । এখান থেকে আমরা দারুন সুন্দর সূর্য অস্ত দেখলাম । খুব ভাল লাগলো জায়গাটা । পরেরদিন সকাল বেলা দুর্গ দেখে রওনা হলাম গির ফরেস্ট দেখতে । গির ফরেস্ট আসতে দুপাশে দেখলাম মাইলের পর মাইল আম বাগান । দুপুর বেলা গির ফরেস্টে পৌঁছে বন দপ্তরের গাড়ি নিয়ে চললাম ফরেস্ট দেখতে । ১৫০ টাকা করে টিকিট । অনেকটা জায়গা নিয়ে বিশাল ফরেস্ট । সিংহ , চিতা , নীল গাই , আর প্রচুর হরিণ দেখলাম ।চিরিয়াখানায় দেখা আর জঙ্গলের মধ্যে চোখের সামনে দেখার একটা অন্য অনুভূতি আছে । চিরিয়াখানায় জন্তু – জানোয়াররা থাকে খাচার ভিতর আর আমরা থাকি খোলা আকাশের নীচে । এখানে তার উল্টো । আমরা বাসের মধ্যে আর ওরা খোলা আকাশের নীচে । ফরেস্ট দেখে আমরা গেলাম ভালুকা তীর্থ । কথিত আছে এখানেই শ্রীকৃষ্ণের পায়ে ব্যাধের ছোড়া তীর লাগে । আছে শ্রীকৃষ্ণের একটা মন্দির । এখান থেকে সোজা ভারাবেল রেল স্টেশন যেখান থেকে আমরা রাত্রি সাড়ে নটায় ট্রেনে করে যাব আমেদাবাদ ।
ভোড়বেলা পৌছালাম আমেদাবাদ ।বাইরের তাপমাত্রা দেখাচ্ছে ১০ ডিগ্রি । সারা গুজরাটের তাপমাত্রা খুব ভাল ছিল তাই কোন জায়গায়তে আমাদের কোন কষ্ট হয়নি । ওখান থেকে কাছেই হোটেল । আমাদেবাদে দেখলাম সাবরমতি আশ্রম , স্টেপ ওয়েল আর অক্ষয়ধাম – স্বামী নারায়নের মন্দির । আমি কয়েক বছর আগে সাবরমতি আশ্রম দেখেছি । এখন যেন আরও ভাল লাগলো । নদী দেখে মনে হচ্ছে ‘ মরা গাঙে বাণ এসেছে ‘। তারপর গেলাম স্টেপ ওয়েল – এটা তৈরি করা হয়েছিল ১৪৯৮ তে রাণা ভীর সিং এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে । তৈরি করেছিলেন তার বৌ রানী রুদাদেবী । পাঁচ তলার নীচে একটা কুয়া । আর তার ওপরে নানা রকমের সুন্দর সব কাজ করা পাথরের একটা বড় structure । ওখান থেকে আমরা সবাই গেলাম অক্ষয়ধাম মন্দির দেখতে । বিশাল মন্দির । এখানে পকেটে কোরে শুধু টাকা – পয়সা নিয়ে যাওয়া যায় , এছাড়া আর কিছু নিয়ে যাওয়া যাবে না । গেট থেকে মন্দির অবধি অনেকটা রাস্তা যেতে হয় । অনেককেই দেখলাম মন্দিরে গিয়ে বসে পরেছে । এখন পর্যন্ত যতগুলি স্বামী নারায়নের মন্দির দেখছি সবগুলিই বিশাল আকারের । এরপর অনেকেই গেল শপিং করতে । যতই ঘোরার আনন্দ হোক না কেন একটু শপিং না হলে মহিলাদের মন ভরে না বলে আমার মনে হয় । যারা ট্রেনে কলকাতা ফিরবে তারা আজ রাত ১২ টার সময় ট্রেন ধরবে আমেদাবাদ স্টেশন থেকে । সবাই যে যার মতো গুছিয়ে নিচ্ছে । আজ রাত্রে আবার grand feast আছে । খাওয়া দাওয়া সেরে সবাই সবাইকে শুভ রাত্রি জানিয়ে শুতে চললাম । আমাদের গুজরাট ভ্রমণ সুন্দরভাবে শেষ হল। কাল ভোরে আমাদেবাদ থেকে সকাল বেলা আকাশপথে রওনা দেব কলকাতার উদ্দেশ্যে । একটা ভ্রমণ তখনই চূড়ান্ত রূপ পায় যখন ভ্রমনের সমস্ত ব্যবস্থা ঠিক থাকে আর ভ্রমণসঙ্গীরা ভাল মনের হয় ।




Please visit my You tube channel : https://www.youtube.com/cha…/UCwI8JNW7FmslSEXnG6_GAgw/videos
Rakshit Basudev
দারুণ travelouge। এই জায়গা গুলো না দেখে ও অনেকটা imagine করা যাবে- আপনার এই লেখা পড়ে।আমি কিছুটা ঘুরেছি এখানে, তাই বললাম।
Arpita Sengupta
দারুন বর্ণনা, মনে হচ্ছে বেড়িয়ে বেড়াচ্ছি একসাথে।
Mita Sengupta
Beautiful description. Waiting for some more
Souvik Dasgupta
দারুন সব ছবি ।
Ruby Nandy
Darun description……Jawar ichha roilo.
Chanchal Bhattacharya
বা:, খুব ভালো লাগলো।
গুজরাট যাওয়া হয়নি।
এ লেখা পড়ার পরে ইচ্ছেটি প্রবল হচ্ছে।
Manik Dutta
দারুন স্মার্ট লাগছে, specially কাকিমা কে। বর্ণনাও দারুন করেছেন স্যর। কদিন থাকবেন ওখানে?
Kanti S
Darun pic lekhatao darun
Amlan Roy Chowdhuri
Presumed it a very nice experience – really got to know lot from your writing . Keep it up , I also have the plan to speak Bidyut on my future tour programme . keep well.
Lipika Mitra Sarkar
বাঃ দারুন বর্ণনা করেছেন দাদা । আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে আমাদের ও ঐ জায়গা গুলো ঘোরা হয়ে গেল । 👌👌👌
Naru Mahato
খুব সুন্দর ভাবে বলেছেন ।ভাল লাগল ।
Abhijit Samadder
অন্যবারের মতোই তোমার লেখনী এত জীবন্ত যে আমিও ভূজ ঘুরে আসলাম মনে হচ্ছে।আরো চাই on public demand.
Tapasi Banerjee
Khub sunder. Lekha ta excellent.
Probir Das
খুব ভালো লাগল
Suparna Chowdhury
ভালো লাগছে তোমাদের সবাইকে
Samarendra Nath Sarkar
Khub bhalo laglo sundor trip er news pore.. happy stay in Ahmedabad..
Swapna Sen Gupta
তোমার লেখা পড়ে গুজরাট ঘুরে এলাম।ছবি গুলো খুব সুন্দর।
Shubhranshu Mohan Banerji
Good writing.
Enjoy the trip.
Bharati Banerjee
Dadar anubhuti r abhigyata bhara lekha— tulona hoyna khub darun laglo porre
Apurba Neogi
Superbl6y described Travel Experience.
Ranjit Sen
Darun, darun go ahead, khub bhalo lagche..ek somoy ami service shake aai jaiga gulo visit korechi..bed-dwarka evening khub sunder sunset
Provat Kumar Mitra
Sabalil barnanay Gùjrat chokher samne!
Gayatri Dasgupta
khub sundor lekha ta hoechhe. Ami ei lekhata save kore rakhchhi. Gujrate bhromon e amader sundor bonding ta memorable hoe thakbe.
Sharmistha Sengupta
Khub Sundor lokhecho. Tomar lekha pore Gujarat dakhar echhe jaglo.
Dipti Adhya
দারুন দারুন
Priyabrata Panja
খুব ভাল।তবে ছবিগুলির স্থান কাল পাত্র দিলে আরও ভালো হত।আনন্দ আর আনন্দ।
Aparajita Sengupta
Tomar lekha o chobi tei mukdho amra…….,khub valo ghurecho
Nirmal Nirmal
Apner lekha pore jabar ichhe jage chhilo, aba r(02. 01. 2020) jachhi.
Apurba Neogi
Superbly described travel experience with matching wonderful photographs.
LikeLiked by 1 person
THANKS TO ALL
LikeLike