সংক্রামক রোগ/অসংক্রামক রোগ/অসংক্রামক রোগের উদাহরণ/সংক্রামক রোগের উদাহরণ/জীবানুর সংক্রমণের হাত থেকে প্রতিকারের উপায়/কিছু রোগ যেগুলোতে জ্বর একটা বড় লক্ষণ 

সংক্রামক রোগ/অসংক্রামক রোগ/অসংক্রামক রোগের উদাহরণ/সংক্রামক রোগের উদাহরণ/জীবানুর সংক্রমণের হাত থেকে প্রতিকারের উপায়/কিছু রোগ যেগুলোতে জ্বর একটা বড় লক্ষণ 

সংক্রামক বা ছোয়াচে আর অসংক্রামক বা ছোয়াচে রোগ নয়

সংক্রামক রোগ – যেটা একজন রুগীর থেকে আরেকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে জীবানু বা অন্য যে সমস্ত জীবন্ত প্রাণী শরীরের ক্ষতি করে সেগুলো থেকে সংক্রামক রোগ জন্মায় এন্টিবায়োটিক বা যে সব ঔষধ জীবানুর সাথে যুদ্ধ করে তারা সংক্রামক রোগ সারাতে সাহায্য করে এই সংক্রামক রোগগুলো যাতে ছড়িয়ে না পড়তে পারে বা এর থেকে অন্যদের রক্ষা করা, এই দুটো ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত

অসংক্রামক রোগ যেটা একজন রুগীর থেকে আরেকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পরে না এই অসংক্রামক রোগের অনেক বিভিন্ন রকমের কারণ থাকে কিন্তু যে সব রোগের বীজ , জীবানু বা অন্য জীবন্ত প্রাণী শরীরকে আক্রমন করে – সেগুলো কখনই এই সব রোগের কারণ হয় না তাই এন্টিবায়োটিক বা যে সব ঔষধ জীবানুর সাথে লড়াই করে তারা অসংক্রামক রোগ সারাতে কোনো সাহায্যই করতে পারে না

অসংক্রামক রোগের উদাহরণ

শরীরের কোনো অংশ ক্ষয়ে গেলে বা কোথাও গোলমাল হলে যে সব সমস্যা হয় বাইরের জিনিস শরীরের ক্ষতি করলে বা শরীরকে কষ্ট দিলে যে সব সমস্যা হয় শরীরে যা যা দরকার তার মধ্যে কোনো কিছুর অভাবে যে সব সমস্যা হয়
বাত , হার্টের রোগ ,মৃগী ,সন্ন্যাস রোগ ,মাইগ্রেন ,ছানি ,ক্যান্সার এলার্জি ,হাঁপানি ,বিষক্রিয়া ,সাপের কামড় ,ধুমপান থেকে কাশি ,আলসার অপুষ্টি ,পেলাগ্রা ,রক্তহীনতা ,গলগন্ড ,লিভারের সিরোসিস
যে সব সমস্যা নিয়ে মানুষ জন্মায় যে সব সমস্যা মনে জন্মায়
গন্নাকাটা ,টেরা চোখ ,অন্যান্য খুঁত ,কয়েক রকম মৃগী , অপরিণত শরীর ,জন্মের দাগ স্নায়বিক উদ্বেগ , ভয়

সংক্রামক রোগের উদাহরণ

যে সব প্রাণী রোগ ঘটায় রোগের নাম রোগটা কি করে ছড়ায় বা শরীরে ঢোকে
জীবানু যক্ষা বাতাস দিয়ে (কাশি)
ধনুস্টঙ্কার নোংরা ক্ষত
কিছু পাতলা পায়খানার রোগ নোংরা হাত , জল , মাছি
নিউমোনিয়া (কয়েক রকমের)বাতাস দিয়ে (কাশি)
গনোরিয়া আর সিফিলিস যৌন সংস্পর্শে
কানে ব্যথা সর্দির সঙ্গে
ক্ষতে সংক্রামন নোংরা জিনিসের সংস্পর্শে
পুঁজ সমেত যা সরাসরি সংস্পর্শে (ছোয়ায় )
ভাইরাস (ব্যাকটিরিয়ার থেকে ছোট জীবানু )সর্দি ,ফ্লু , হাম , মামপস ,জলবসন্ত ,বাচ্চাদের পক্ষাঘাত , ভাইরাসঘটিত ,পাতলা পায়খানা যার রোগ হয়েছে তার কাছ থেকে বাতাসের মধ্যে দিয়ে কাশি, মাছি ইত্যাদি দিয়ে
জলাতঙ্ক (রেবিস)জানোয়ারের কামড়
আঁচিল ছোঁয়ায়
ছত্রাক দাদ ছোঁওয়া বা জামা কাপড় থেকে
হাজা ছোঁওয়া বা জামা কাপড় থেকে
ভেতরের পরজীবী (যে সব ক্ষতিকর প্রাণী মানুষের শরীরের মধ্যে বাস করে )নাড়িভুঁড়ির মধ্যে : কৃমি ,এমিবা (আমাশয়)মল থেকে , মুখ দিয়ে , পরিচ্ছন্নতার অভাবে
রক্তে : ম্যালিরিয়া , গোদ মশার কামড়
বাইরের পরজীবী (যে সব ক্ষতিকর প্রাণী শরীরের উপর থেকে )উকুন , এঁটুলি , ছারপোকা , স্কেবিস যাদের এই সব রোগ হয়েছে তাদের বা তাদের জামাকাপড়ের সংস্পর্শে

জীবানুর সংক্রমণের হাত থেকে প্রতিকারের উপায়

  • সর্বপ্রথম ভালো করে হাতের সামনে দিক পিছনে দিক ধোয়ার অভ্যাস করা বিশেষ করে খাওয়ার আগে , টয়লেট করার পর , ভিড়ের থেকে আসার পর , কোনো অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শে আসার পর , গৃহপালিত জন্তুকে আদর করার পর , গণপরিবহনে যাতায়াতের পর

  • চেষ্টা করা নাকে, মুখে,চোখে হাত দেওয়ার আগে হাত ভালো করে ধুয়ে নেওয়া কারণ শরীরে জীবানু প্রবেশ করার প্রধান রাস্তা এগুলো

  • সর্দি, কাশি, হাঁচি দেওয়ার আগে মুখ ঢেকে নেওয়া পারতপক্ষে লোকজনের থেকে অন্যদিকে ঘুরে যাওয়া

  • অন্যের কোনো জিনিস ব্যবহার করার আগে ভালো করে ধুয়ে নেওয়া

  • প্রচুর পানীয় গ্রহণ করা

  • পরিপূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া

  • হালকা জামা কাপড় পরা এবং ঠান্ডা আবহাওয়াতে থাকা

    কিছু রোগ আছে যেগুলোতে জ্বর একটা বড় লক্ষণ , যেমন:

    ম্যালেরিয়া : শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া আর শীত শীত করার সাথে হঠাৎ শুরু হয় জ্বর , থাকে কয়েক ঘন্টা তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে শুরু হয় ঘাম সাধারনত প্রতেক দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে এর আক্রমন হয় জ্বরের ফাঁকে রোগীকে মোটামুটি সুস্থ মনে হয় প্রতেকবার তাপমাত্রা বাড়ার পর রোগী এক , দুই বা তিন দিন ভালো বোধ করতে পারে

    টাইফয়েড : সর্দির মত শুরু হয় প্রতিদিন একটু করে তাপমাত্র বাড়ে নাড়ির গতি তুলনায় ধীর থাকে কখনো কখনো পাতলা পায়খানা আর শরীরে জলের অভাব হয় কাঁপুনি আর প্রলাপ হয় রোগী খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে

    হেপাটাইটিস : রোগীর খিদে চলে যায় খেতে বা ধুমপান করতে চায় না বমি বমি ভাব হয় চোখ আর চামড়া হলদে , পেচ্ছাব গারো হলুদ বা খয়েরি আর পায়খানা সাদাটে রঙের হয়ে যায় কখনো কখনো লিভার বড় হয়ে যায় আর যন্ত্রণা দেয় জ্বর কম থাকে রোগী খুব দুর্বল হয়ে পড়ে

    নিউমোনিয়া : দ্রুত ওপর ওপর শ্বাস পড়ে তাপমাত্রা তাড়াতাড়ি ওঠে কাশির সাথে সবুজ , হলদে বা রক্ত মেশা কফ ওঠে বুকে ব্যথা থাকতে পারে রোগী খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে

    বাতের জ্বর : ছোট ছেলেমেয়েদের আর কিশোর কিশোরীদের মধ্যে বেশি দেখা যায় গাঁটে গাঁটে ব্যথা বেশি জ্বর হয় প্রায়ই গলায় ব্যথা হয়ে শুরু হয় বুকে ব্যথার সাথে শ্বাসকষ্ট থাকতে পারে রোগীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও হাতপায়ের নড়াচড়া হতে পারে

    যক্ষা : ক্লান্তি , ওজন কমে যাওয়া আর কাশির সাথে ধীরে ধীরে শুরু হয় বিকেলের দিকে জ্বর হয় সকালে তাপমাত্রা নেমে যায় রাত্রে ঘাম হতে পারে মাসের পর মাস এইরকম চলতে পারে

    সূতিকার জ্বর : প্রসবের এক বা কয়েকদিন পরে শুরু হয় অল্প জ্বর দিয়ে আরম্ভ হয় পরে সাধারনত সেটা বাড়ে যোনিদ্বার দিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব হয় যোনিতে ব্যথা , কখনো কখনো রক্তপাতও হয়

    এগুলো ছাড়া আরো অনেক রোগ আছে যেগুলোতে একই ধরনের লক্ষণ আর জ্বর হতে পারে . যখনই দরকার ডাক্তারের সাহায্

Please visit my You tube channel : https://www.youtube.com/cha…/UCwI8JNW7FmslSEXnG6_GAgw/videos

One thought on “সংক্রামক রোগ/অসংক্রামক রোগ/অসংক্রামক রোগের উদাহরণ/সংক্রামক রোগের উদাহরণ/জীবানুর সংক্রমণের হাত থেকে প্রতিকারের উপায়/কিছু রোগ যেগুলোতে জ্বর একটা বড় লক্ষণ 

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s